ফুটবলে সোনার বুট জয়ী সাথুইমা মারমারকে আবারো মাঠে ফেরাতে উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। তার চিকিৎসার যাবতীয় খরচ বহনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আগামী ২৭ অক্টোবর থেকে চট্টগ্রাম সিএইমএইচ এ চিকিৎসা শুরু করবে সেনাবাহিনীর বিশেজ্ঞ চিকিৎসক দল।
সম্প্রতি আর্ন্তজাতিক একটি টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়ার আগে ঢাকায় জাতীয় দলের অনুশীলন ক্যাম্পে অনুশীলনের সময় বাম পায়ে চোট পায় সাথুইমা। এর পর থেকে ফুটবল থেকে ছিটকে পড়ে।
রোববার রাঙামাটি সেনা রিজিয়নের উদ্যোগে সাথুইমা মারমাকে চিকিৎসার ব্যাপারে উদ্যোগের কথা জানিয়ে দিতে নিজ কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে চাথুই মারমার উদ্দেশ্যে রিজিয়ন কমান্ডার এসব কথা বলেন।
এসময় রাঙামাটি ব্রিগ্রেড জি টু আই মেজর সৈয়দ তানভীর সালেহ, রাঙামাটি প্রেসক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল, রাঙামাটি জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সাধারণ সম্পাদক আবু সাদাৎ মোঃ সায়েম, যুগ্ন সম্পাদক ও সাবেক জাতীয় ফুটবলার কিংশুক চাকমাসহ সেনাবাহিনীর উদ্বর্তন কর্মকর্তাগণ ও সাথুইমা মারমার বোন মাসি প্রু মারমা ও ভাই আপ্রু মারমা উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, ২০১৫ সালে নেপালে একটি টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়ার আগে ঢাকায় জাতীয় দলের অনুশীলন ক্যাম্পে অনুশীলনের সময় তা বাম পায়ে চোট পায় সাথুইমা। এরপর ফুটবল থেকে ছিটকে পড়ে। এরপর থেকে পায়ের চোটের চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোনো ধরনের সহযোগিতা না পাওয়ায় হতাশ হয়ে শখের ফুটবল খেলা থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তের শেষ মুহুর্তে এই কৃতি খেলোয়ারের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর রাঙামাটি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ সানাউল হক এসজিপি, পিএসসি।
তিনি বলেন, কৃতি এই ফুটবলারকে মাঠে ফেরাতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে যা যা করার তার সবটুকু চেষ্ঠাই করা হবে। একজন প্রতিভাবান খেলোয়ার এভাবে অযতœ অবহেলায় অকালে হারিয়ে যাবে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তা কখনোই কামনা করেনা। আমরা আশাবাদী চাথুইমা মারমা সুস্থ হয়ে আবারো ফুটবল নিয়ে মাঠ মাতাবে।
সেনাবাহিনীর এই উদ্যোগের প্রশংসা করে রাঙামাটি জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সাধারণ সম্পাদক আবু সাদৎ মোঃ সায়েম বলেছেন, নানা সীমাবদ্ধতার কারনে আমরা সাথুইমা মারমার পাশে দাঁড়াতে পারিনি। সেনাবাহিনী তার পাশে দাড়িয়ে প্রমাণ করলো পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্রীড়াঙ্গনের সম্পদ রক্ষার্থে এ এক অনন্য দৃষ্টান্ত ও সময়োপযুগী সিদ্ধান্ত। তিনি সাথুইমা মারমার চিকিৎসার সব খরচ বহন করার জন্য সেনাবাহিনীর প্রতি রাঙামাটি জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও সকল ক্রীড়া প্রেমীদের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
রাঙামাটি সেনা রিজিয়নের প্রশংসনীয় এ উদ্যোগের আবেগ আপ্লুত হয়ে সাথুইমা মারমা জানায়, মাঠে ফিরবো কল্পনাই করিনি। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মাঠে ফেরার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে উদ্যোগ নিয়েছে। সেজন্য আমি ও আমার পরিবার আজীবন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতি চিরঋণি হয়ে থাকবো। চিকিৎসা পরবর্তী ফুটবলে আমার যাকিছু অর্জণ হবে আমি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে তার সবটুকু-ই উৎসর্গ করে যাবো।
উল্লেখ্য, ফুটবলে সোনার বুট জয়ী সাথুইমা মারমা আর্ন্তজাতিক একটি টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়ার আগে ঢাকায় জাতীয় দলের অনুশীলন ক্যাম্পে অনুশীলনের সময় বাম পায়ে চোট পায়। এর পর থেকে সে ফুটবল থেকে ছিটকে পড়ে। সম্প্রতি এই কৃতি ফুটবলার সাথুইমা মারমা অর্থের অভাবে তার বাম পায়ে চোট চিকিৎসা করাতে পারছে না বলে রিপোর্ট বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.