খাগড়াছড়ির তবলছড়ি গ্রীণহিল কলেজের ১ম বর্ষের ছাত্রী আরিফা বেগম (১৯) নামে এক কলেজ শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার সকাল পৌণে ৮টার দিকে তাইন্দং মাইজপাড়া নিজবাড়ীর পিছনের কাঠাল গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সুরতহালে স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে আরিফার আত্নহত্যা প্রেমঘটিত দাবী করলেও পরিবারের অভিযোগ ইভটিজিং শিকার হয়ে অপমান অপদস্ত হয়ে আত্নহত্যার পথ বেছে নেয় কলেজ ছাত্রী আরিফা । এ ব্যাপারে তবলছড়ি তদন্দ্র কেন্দ্রে সাধারন ডায়েরি ১৮৭, রুজু করেছে পুলিশ। কলেজ ছাত্রী আরিফা স্থানীয় মৃত. আবিদ আলীর কন্যা।
পুলিশ ও কলেজ ছাত্রী আরিফার ভাই আমান হোসেন পোদ্দার জানান, ভোর ৪টার দিকে ঘরের বাইরে আসলে কাঠাল গাছে সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা পান বোনের লাশ। পরে পুলিশকে খবর দিলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বারের সহযোগিতায় লাশ উদ্ধার করে পুলিশ সুরতহাল করে।
সুরতহাল প্রস্তুতকারী তবলছড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক জানান, প্রাথমিক তদন্তকালে কলেজ ছাত্রী আরিফা বেগমের ভাবী আমেনা বেগম এর ফুফুর দেবরের ছেলে ও একই কলেজের ২য় বর্ষের ছাত্র মো. হুসাইন এর সাথে আরিফার বেশ কিছুদিন যাবত প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গেল ৭মার্চ কলেজের মধ্যে তাদের প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে ঝগড়া হয়। অপমান অপদস্ততার কারনে আরিফা আতœহত্যা করেছে বলে ধারনা করছে পুলিশ।
আরিফার বড় বোন আমেনা বেগমের স্বামী মো. দেলোয়ার হোসেন খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে শ্যালিকার লাশ নিয়ে পৌঁছলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, দীর্ঘদিন যাবত কলেজের ২য় বর্ষের ছাত্র মো. হুসাইন আরিফাকে প্রেম প্রস্তাব করে আসছিল এবং পথের মধ্যে উত্ত্যোক্ত করতো। মঙ্গলবারও কলেজে আরিফাকে উত্ত্যোক্তা করে এই বখাটে ছাত্র।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির। তিনি জানান, আরিফাকে কলেজ যাতায়াতে উত্ত্যোক্ত করতো তবলছড়ি হাসপাতাল এলাকার মো. মিলনের ছেলে মো. হুসাইন।
মাটিরাঙা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাহাদাৎ হোসেন টিটো জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে এটি ইভটিজিং নয়,প্রেমঘটিত।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.