খাগড়াছড়িতে এমএন লারমা গ্রুপের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির শুক্রবার থেকে তিন দিন ব্যাপী ১১ তম জাতীয় সম্মেলন শুরু হয়েছে।
খাগড়াছড়ি খাগড়াপুর কমিউনিটি সেন্টারে সম্মেলনে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে সম্মেলন উদ্ধোধন করেন দলটির সাবেক কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সুধাসিন্ধু খীসা। পরে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মন্ডলীর সভাপতি সুধাসিন্ধু খীসা। এসময় উপস্থিত ছিলেন নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এড. শক্তিমান চাকমা,মহালছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান বিমল কান্তি চাকমা,মহিলা ভাইস- চেয়ারম্যান কাকলি খীসা,চাইথোয়া অং মারমা প্রমুখ। সম্মেলনে দলের কেন্দ্রীয় কমিটিসহ বিভিন্ন কমিটির নেতৃবৃন্দ অংশ গ্রহন করেছেন।
উদ্বোধনী বক্তৃতায় সুধাসিন্ধু খীসা পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নসহ সকল অধিকার আদায়ের জন্যে লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার আহবান জানান। তিনি বলেন, বৃহত্তর জাতিগত ঐক্য ছাড়া জুম্ম জাতির বেঁচে থাকার সুযোগ নেই। কারন সরকার দীর্ঘ ১৯ বছরে ও চুক্তি বাস্তবায়ন হয়নি। যদি চুক্তি বাস্তবায়নে সরকার আন্তরিক থাকতো তাহলে এত দিনে চুক্তির সকল ধারা বাস্তবায়ন হতো। চুক্তি বাস্তবায়ন না করে উল্টো সংবিধান সংশোধন করে আদিবাসীদের বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ চাপিয়ে দেন।
তিনি আরো বলেন দেশের ৬৪ জেলা সাথে তিন পার্বত্য জেলা ভিন্ন কারন ৬১ টি জেলা চলে ১৯৫০ সালের প্রজাসত্ব আইনে আর তিন পার্বত্য জেলা হচ্ছে ১৯০০ সালের হিল ট্রাক্স মেনুয়েল অনুযায়ী। হিল ট্রাক্স মেনুয়েল অনুযায়ী পার্বত্য জেলা ভূমি অধিকার পাহাড়ীদের। কারন এ আইনে খাস জমি বলতে কোন জমি নেই।
তিনি আরো বলেন ১৯৬০সালে কাপ্তাই বাধে আদিবাসীদের ৫৪ হাজার একর জমি পানিতে ডুবে গিয়ে পাহাড়ের আদিবাসীরা অসহায় হয়ে পড়ে। আর বর্তমানে বাকী জমি গুলো সেটেলাররা কেড়ে নিতে শুরু করেছে।
তিনি পার্বত্য এলাকায় পাহাড়ী-বাঙ্গালী এক পরিসংখ্যানে বলেন ১০৪৭ সালে ২.৫%,১৯৬০ সালে ৯%,১৯৭৪ সালে ২৫%,১৯৮১ সালে ৪১% ১৯৯০ সালে ৪৮% আর ১৯৯০ সালের পর আর কোন পারসেন্ট নেই।
হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.