বান্দরবানের লামার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের হায়দারনাসী উচ্চ বিদ্যালয়ে গেল শনিবার স্কুল চলাকালীন সময়ে ক্লাস রুমে জোর পূর্বক প্রবেশ করে অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে উক্ত্যক্ত করার ঘটনা অভিযোগ উঠেছে।
এই ঘটনার জের ধরে উত্যক্তকারী মোঃ মোবারক হোসেনের নেতৃত্বে দু`দফা হামলা চালালে গ্রাম্য পুলিশসহ ৩ জন আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন, দক্ষিণ হায়দারনাসী এলাকার গ্রাম পুলিশ সাহাবুদ্দিন (২৬), গিয়াস উদ্দিন (২২) ও মোঃ সাগর (১৬)। আহত ৩ জন লামা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
অভিযোগে জানা যায়,লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের হায়দারনাসী উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্লাস চলাকালীন সময়ে শনিবার বেলা ১২টায় এলাকার আবু তাহেরের ছেলে মোঃ মোবারক জোর পূর্বক বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রীকে উত্যক্ত করেন। এ সময় মোবারককে অষ্টম শ্রেণীর ক্লাস ক্যাপ্টেন মোঃ রিয়াজ উদ্দিন ও শরীফুল ইসলাম সহ আরো অনেক ছাত্র বাধা দেয়। এ ঘটনার জের ধরে উত্যক্তকারী মোবারকের নেতৃত্বে বাধা প্রদানকারী ছাত্রদের না পেয়ে তাদের আত্মীয় স্বজনের উপর দু`দফা হামলা চালানো। মোবারক ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড বাম হাতির ছড়া এলাকার সাবেক মেম্বার আবু তাহের এর ছেলে।
আহত গ্রাম্য পুলিশ সাহাবুদ্দিন জানান, বাম হাতির ছড়ার বজল আহমদের ছেলে রবিউল আলম (২৫) তাকে বন্দুক নিয়ে ধাওয়া করে এবং মোবারক তাকে মারধর করেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল কাদের ছাত্রীকে উত্যক্ত করার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মোবারক এর বিরুদ্ধে বিদ্যালয় পক্ষ থেকে আমরা মামলা করবো।
স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি কামাল উদ্দিন মেম্বার জানান, আমি অপরাধীদেরকে গ্রেফতার পূর্বক বিচারের দাবি করছি।
লামা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিষয়টি ফাঁসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান জাকের হোসেন মজুমদার রোববার মাসিক আইন শৃঙ্খলা মিটিংয়ে উপস্থাপন করেছেন। আমরা জেনে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার খিন ওয়ান নু বিষয়টি আমলে নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে লামা থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.