জুরাছড়ি বনযোগীছড়া ইউনিয়ন পরিষদে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের ৬৮ লক্ষ ৩ হাজার টাকা প্রায় বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে।
সোমবার পরিষদের সম্মেলন কক্ষে চেয়ারম্যান সন্তোষ বিকাশ চাকমা বাজেট ঘোষনা করেন। এর আগে ইউপি সচিব বিনয় জ্যোতি চাকমা উম্মুক্ত বাজেটের আয়-ব্যয় হিসাব উপস্থাপন করেন।
এ সময় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সন্তোষ বিকাশ চাকমার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ১৪৫নং বনযোগীছড়া মৌজার হেডম্যান করুনা ময় চাকমা উপস্থিত ছিলেন। এছারা অন্যান্যদের মধ্যে কতরখাইয় গ্রামের সমির কার্ব্বারী, প্রধান শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুগত চাকমা, প্রধান শিক্ষিকা সুমনা তালুকদারসহ কৃষি, স্বাস্থ, প্রাণি সম্পদ, সমাজ সেবা অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী সেবা প্রদানকারী দপ্তরের প্রতিনিধি, সাংবাদিকসহ ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত ও সাধারণ ওয়ার্ড সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বনযোগীছড়া ইউনিয়ন পরিষদের প্রস্তাবিত বাজেটে উন্নয়ন প্রকল্প ব্যয় ৬৮ লক্ষ ৩ হাজার টাকা প্রায় ধরা হয়েছে। এর মধ্যে নিজস্ব আয় ১ লক্ষ ২৮ হাজার এবং সরকারের থেকে বরাদ্দ ৬৬ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা প্রায়।
প্রস্তাবিত বাজেটে সর্বোচ্চ ব্যয় ধরা হয়েছে কৃষি ও সেচ উন্নয়ন খাতে ১৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। এর পর যোগাযো খাতে ১৪ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা; স্বাস্থ্য ও নিরাপদ পানি সরবরাহ খাতে ৯ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা; শিক্ষা উন্নয়ন খাতে ৮ লক্ষ ২০ হাজার টাকা; মানব সম্পাদ উন্নয়ন খাতে ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা; পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় খাতে ৪ লক্ষ টাকা; ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন খাতে ৩ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা; মহিলা, যুব ও শিশু উন্নয়ন খাতে ৩ লক্ষ টাকা করে ব্যয় ধরা হয়েছে।
বাজেট উপস্থাপনার সময় চেয়ারম্যান সন্তোষ বিকাশ চাকমা বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের সিমিত আয় ও সরকারী স্বল্পতা বরাদ্দের কারণে এলাকায় বহু সমস্যা ও বিভিন্ন উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তা থাকার সত্বেও এলাকার চাহিদা মোতাবেক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছেনা। তবে সীমিত বরাদ্দের মধ্যেও সচ্চতার মাধ্যমে সকল প্রকল্প বাস্তবায়নে এলাকায় সূষম উন্নয়ন নিশ্চিত করা হবে।
এছাড়া তিনি আরো বলেন, রাঙামাটি জেলা পরিষদ ও পার্বত্য উন্নয়ন বোর্ড সকল প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ইউনিয়ন পরিষদের মতামত গ্রহণ ও সংশ্লিষ্ট্যতা রাখা হলে এলাকায় সময় উপযোগী সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.