রাঙামাটি জেলার লংগদু উপজেলা ভাড়া মোটর সাইকেল চালক মোঃ নুরুল ইসলাম নয়নের লাশকে কেন্দ্র করে শুক্রবার ৪টি আদিবাসী গ্রাম তিনটিলা, মানিকজোড় ছড়া, বাত্যা পাড়া ও বড় আদামে দুর্বৃত্তরা লুটপাট, অগ্নিসংযোগ এবং হত্যাকান্ডের ঘটনায় তীব্র ধিক্কার, নিন্দা ও ঘৃণা জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটি।
শনিবার পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটিা সভাপতি গৌতম দেওয়ানের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বার্তায় বলা হয়,আইন শৃঙ্খলা ভঙ্গ হলে দোষীকে খুজে বের করে আইনের আওতায় আনা জুরুরী। একই যুক্তি মোটর সাইকেল চালক মোঃ নুরুল ইসলামের লাশের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। কিন্তু এ ধরনের পরিস্থিতির অজুহাতে বারে বারে আদিবাসীদেরকে ঢালাও ভাবে অভিযুক্ত ও এর প্রেক্ষিতে হামলা মোটেই গ্রহনযোগ্য নয়। অতীতেও এ ধরনের ঘটনা একাধিকবার ঘটেছে। তৎসত্ত্বেও লাশ নিয়ে মিছিল বের হবে তা জেনেও স্থানীয় আইন-শৃংখলা বাহিনী থেকে প্রশাসন কর্তৃপক্ষ যথাযথ সতর্ক পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। তাদের চোখের সামনে আদিবাসীদের ৪টি গ্রামের ২৫০ টি (প্রায়) বাড়ি ভষ্মিভূত হয় ও একজন বৃদ্ধা (গুনবালা চাকমা) ঘরের ভেতরেই অগ্নিদগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
প্রেস আরো দাবী করা হয়, এর দায় স্থানীয় সামরিক-বেসামরিক প্রশাসন কোন ভাবেই এড়াতে পারেন না। যে জনগনের করের টাকায় তাঁদের বেতন চলে, সেই জনগনকে নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব তাঁদের। এখানে পাহাড়ি-বাঙ্গালী ভেদা-ভেদ করার সুযোগ নেই।
প্রেস বার্তায় লংগদু ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীদের চিহ্নিত করে তাদের আইনের আওতায় আনা,স্থানীয় সামরিক-বেসামরিক প্রশাসনের মধ্যে যারা দায়িত্বে অবহেলা করেছেন তাদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার, ব্যক্তি, সংস্থাসমূহকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবী জানানো হয়েছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.