আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শেখ পাশা হাবিব উদ্দীন পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি-শৃংখলা বজায় রাখতে আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের আরও ভালভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন,পার্বত্য চট্টগ্রামের বাইরে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী (ভিডিপি) সদস্যদের চেয়ে এ অঞ্চলের সদস্যরা একটা ভিন্ন পরিবেশ ও অনেক বেশী চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সম্প্রতি প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় আনসার ও ভিডিপি সদস্যরা সাহসী ভূমিকা পালন করেছে। আগামীতে যাতে এ ধরনের দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায় এ জন্য সবাইকে সর্তকতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, আগামী বছরের শেষে বা ২০১৯ সালের শুরুতে জাতীয় নির্বাচন হবে তার জন্য অনেকগুলো কাজ করতে হবে এবং প্রস্তুতিও নিতে হবে। একই সাথে প্রত্যন্ত অঞ্চলে যে যার সামর্থ্য রয়েছে তা দিয়ে বাল্য বিবাহ রোধ, জঙ্গি তৎপরতা রোধ, মাদকাসক্তি রোধ ও যৌতুক প্রতিরোধের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। সবাই সন্মিলিত এই খারাপ কাজগুলো থেকে কিছু লোককে বিরত রাখা যায় তাহলে এই বাহিনীর স্বার্থক হবে।
বুধবার রাঙামাটিতে পাহাড় ধসে নিহত ও ক্ষতিগ্রস্থ আনসার ও ভিডিপি পরিবারকে ত্রাণ বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রাঙামাটি সাংস্কৃতিক ইনষ্টিটিউট মিলনায়তনে আয়োজিত জেলা আনসার ও ভিডিপির কমান্ড্যান্ট আব্দুল আউয়ালের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিজিবি রাঙামাটির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল পারভেজ আকরাম, সেনাবাহিনীর রাঙামাটি সদর জোন কমান্ডার লেঃকর্নেল রেদওয়ান, আনসার ও ভিডিপি চট্টগ্রাম ও পার্বত্য রেঞ্জের চট্টগ্রামের পরিচালক নির্মলেন্দু বিশ্বাস ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ শহীদুল্লাহ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে শেষে পাহাড় ধসে নিহত হিল আনসার সদস্য জিয়াউর রহমানের পরিবারকে এবং ক্ষতিগ্রস্থ একশ আনসার ও ভিডিপি পরিবারের মাঝে নগদ টাকা ও ত্রাণ সামগ্রি বিতরণ করেন
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শেখ পাশা হাবিব উদ্দীন বলেন, আনসার ও ভিডিপি বাহিনীর অনেক সমস্যা রয়েছে। এসব সমস্যা একই দিনে সমাধান করা যাবে না। ক্রমান্বয়ে এসব সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে।
তিনি বলেন,সেনাবাহিনী,বিজিবি এর সাথে অপারেশনের কাজ করে যাচ্ছে আনসার বাহিনীরা। তাই উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মোতাবেক অত্যন্ত সুশৃংখলভাবে কাজ করে যেতে হবে।
১৩ জুন একটি স্মরনীয় দিন, এ দিনে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনায় ১২০ জনের প্রাণীহানী ঘটেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিজিবি,পুলিশ,সেনাবাহিনীসহ সবাই সন্মিলিতভাবে এক অপরকে এগিয়ে গিয়ে দুর্যোগ মোকাবেলা করেছেন। এ দুর্যোগের মধ্যে ঘুরে দাড়াঁনোর চেষ্টা করছেন। আস্তে আস্তে আশ্রয় কেন্দ্রের সংখ্যা কমে আসতে শুরু করেছে। ক্ষতিগ্রস্থদের পূর্নবাসন করা হবে। তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারবে।
তিনি পাহাড় ধসে নিহত হিল আনসার সদস্য জিয়াউর রহমানের ছেলে মাহী উদ্দীন জিহাদের লেখাপড়া দায়িত্বসহ প্রতি মাসে তিন হাজার টাকা করে দেয়া এবং পরবর্তীতে চাকুরী দেয়ার ঘোষনা দেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.