ছাত্রলীগের পদধারী বিবাহিত নেতা-কর্মীদের পদত্যাগের জন্য কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ থেকে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয়ার পর সংগঠনের রাঙামাটির লংগদু উপজেলা শাখা থেকে ৮ নেতা-কর্মী সেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন। তবে পদধারী বিবাহিত যে সমস্ত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী এখনো পদত্যাগ করেননি তাদের দ্রুত পদত্যাগের জন্য অনুরোধ জানিয়েছে জেলা ছাত্রলীগ।
জেলা ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ জুলাই ছাত্রলীগের যেকোনো ইউনিটে পদধারী বিবাহিত নেতাকর্মীদের স্বেচ্ছায় পদত্যাগের নির্দেশ দেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন। এ জন্য তাঁরা ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা সময়ও বেঁধে দিয়েছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি লংগদু উপজেলার ছাত্রলীগের বিভিন্ন পদধারী বিবাহিত আট জন নেতা-কর্মী স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন।
এসব পদত্যাগকারীরা লংগদু উপজেলা শাখার ছাত্রলীগের সভাপতির কাছে ইতোমধ্যে পদত্যাগপত্রও জমা দিয়েছেন। স্বেচ্ছায় পদত্যাগকারীরা হলেন, ছাত্রলীগের লংগদু উপজেলা শাখা শাখার সভাপতির কাছে জমা দিয়েছেন। পদত্যাগকারীরা হলেন, ছাত্রলীগের লংগদু উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি রেজাউল করিম, সহ-সভাপতি রাকিব হাসান, সহ-সভাপতি তৈয়ব আলী, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মো. হানিফ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জাহিদ, উপ-দপ্তর সম্পাদক আবু মুছা, উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. আজগর আলী এবং সিনিয়র সদস্য মো. পারভেজ ভূঁইয়া।
পদত্যাগকারীরা জানান,দলের কেন্দ্রীয় আদর্শের প্রতি সম্মান দেখিয়ে বিবাহিত হওয়ায় তারা নিজেদের পদ থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নিয়েছেন।
এদিকে, রাঙামাটি জেলায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের বেঁধে দেয়া ৭২ ঘণ্টা পার হলেও ৮ নেতা-কর্মী ছাড়া নতুন করে আর কোনো বিবাহিত ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী পদত্যাগ করেননি। শুধু তাই নয়, পদ ধরে রাখতে নিজেদের বিয়ের কথাও গোপন রাখছেন তারা। দায়িত্বশীল নেতারা বিষয়টি জানলেও অনুসারী বা সমর্থকদের হারানোর ভয়ে এসব তথ্য প্রকাশ করছেন না বলে অভিযোগ রয়েছে।
রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ আব্দুল জব্বার সুজন জানান, তিনি দীর্ঘ দিন ধরে ভারতের ব্যক্তিগত সফর শেষে দেশে ফেয়ার পর জানতে পেরেছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশে লংগদু উপজেলা শাখা থেকে বিভিন্ন পদধারী বিবাহিত ৮ নেতাকর্মী স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন। এ জন্য তাদেরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
তিনি আরো জানান, জেলা,উপজেলা,ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে যারা বিবাহিত অবস্থায় ছাত্রলীগ করছেন তাদের নামের তালিকা সংগ্রহ করা হচ্ছে। এসব তালিকা যাচাই-বাছাই করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাথে পরামর্শ করে সাংগঠনিকভাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে এখনো রাঙামাটি জেলায় ছাত্রলীগের বিবাহিত পদধারী যারা এখনো সেচ্ছায় পদ ত্যাগ করেননি তাদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে পদত্যাগ পত্র জমা দেয়ার জন্য তিনি অনুরোধ জানান।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.