সোমবার রাঙামাটির জুরাছড়ি উপজেলার ৬ জন ভিক্ষুককে স্থায়ী পুনর্বাসনের মাধ্যমে ভিক্ষুক মুক্ত এলাকা হিসেবে ঘোষনা করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান।
উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরীর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান উদয় জয় চাকমা, ভাইস চেয়ারম্যান রিটন চাকমা,জুরাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ক্যানন চাকমা, বনযোগীছড়া চেয়ারম্যান সন্তোষ বিকাশ চাকমা, মৈদং ইউপি চেয়ারম্যান সাধনা নন্দ চাকমা, থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইউসুফ সিদ্দিকী, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কাজী মাসুদুর রহমান, উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ ইমাম হোসেন, উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের কর্মকর্তা মোঃ মরশেদুল আলম, সমাজ সেবা কর্মকর্তা বিজয় গিরি চাকমা প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে উপজেলার ৬ জন ভিক্ষুককে দোকান ঘর, গবাদি পশু, সেলাই মেশিন, বসতবাড়ী ও নগদ অর্থ প্রদান করা হয়। জুরাছড়ি উপজেলায় আয়োজিত এক সভার মাধ্যমে ৬ জন ভিক্ষুককে এই সকল সামগ্রী ও নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান বলেন, দেশে ভিক্ষুক মুক্ত করা প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার অংশ হিসেবে জুরাছড়ি উপজেলার ৬ জন ভিক্ষুককে স্থায়ী পুনর্বাসনের মাধ্যমে ভিক্ষুক মুক্ত এলাকা ঘোষণা করা হল। তিনি আরো বলেন, ২০১৮ সালের মধ্যে রাঙামাটি জেলা ১০ টি উপজেলা ২ টি পৌরসভাকে সম্পূর্ণ ভিক্ষুক মুক্ত করতে কাজ করছে জেলা প্রশাসন।
জানা যায়,মৈদং ইউনিয়নের শেফালীকা চাকমা(৪২)। ডান পা নেই শারিরীক প্রতিবন্ধী। শুধু সে নয়- বনযোগীছড়া ইউনিয়নের আনন্দ পাড়ার বামন চিত্তি ময় চাকমা। কোন রকমে মাধ্যমিক ঘন্ডি ফেরিয়ে (এসএসসি) পারিবারিক অভাবের কারণে কলেজের মূখ দেখা হয়নি তার। অভাবে কারণে ভিক্ষার জীবন বেছে নিতে হয়েছে তাকেও। সামাজি ও পারিবারি অভাবে কারণে একই ইউনিয়নের দুর্গামনি চাকমা, মায়া দেবী চাকমা, জুরাছড়ি ইউনিয়নের অন্ধ প্রতিবন্ধী কমল চন্দ্র চাকমা ও রেনুকা চাকমা। তাদের সাথে কথা হয় সোমবার পার্বত্য জেলা পরিষদ বিশ্রামাগারে প্রঙ্গনে। সবাই ভিক্ষা জীবন ছেড়ে আত্ম-সম্মান নিয়ে বাকী জীবন কাটিয়ে যেতে চাই।
উল্লেখ্য ভিক্ষাবৃত্তি নিমূল ও ভিক্ষুক পুনর্বাচনের লক্ষে উপজেলার আগ্রহী কর্মকর্তা- কর্মচারীরা ১দিনের বেতন এক লক্ষ চুয়াল্লিশ টাকা প্রাদন করেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.