গ্রামীণ সাধারণ বন ও পরিবেশ রক্ষার্থে সাব-ডিস্ট্রিক্টর পর্যায়ে মঙ্গলবার জুরাছড়ি উপজেলায় ভিসিএফ নেটওয়ার্ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে সভাপতি হিসেবে অনিল কুমার চাকমা ও রিটেন চাকমাকে সাধারণ সম্পাদক করে ১১ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সিএইচটিডিএফ-ইউএনডিপির অর্থায়নে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা টংগ্যার উদ্যোগে জুরাছড়ি উপজেলা বিশ্রামাগারে কমিটি গঠনকল্পে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রিটন চাকমা। রাঙামাটি সিএইচটি ভিসিএফ-নেটওয়ার্কের সভাপতি নবদ্বীপ চন্দ্র দেওয়ানের সভাপতিত্বে, বিশেষ অতিথি ছিলেন সিএইচটি ভিসিএফ-নেটওয়ার্ক কেন্দ্রিয় কমিটির সভাপতি তোয়া অং মারমা, জুরাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ক্যানন চাকমা, বনযোগীছড়া ইউপি চেয়ারমান সন্তোষ বিকাশ চাকমা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন টংগ্যা প্রকল্প সমন্বয়কারী পলাশ খীসা।
সভার প্রথমার্ধে ভিসিএফ নেটওয়ার্ক কমিটি গঠন প্রনালী ও গঠনতন্ত্র উপস্থাপন করা হয়। একপর্যায়ে নির্বাচন কমিশস গঠন করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জুরাছড়ি মৌজার ঘিলাতলী গ্রামের কার্ব্বারী অনিল কুমার চাকমাকে সভাপতি ও বিএনপির অর্থ সম্পাদ এবং এরাইছড়ি মৌজার বড়ইতলীর নবীন কার্ব্বারী রিটেন চাকমা, অর্থ সম্পাদক জ্যোৎস্না চাকমাসহ ১১ সদস্য বিশিষ্ট্য পুনাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। এ সময় নির্বাচিত সদস্যদের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী শপথ পাঠ করান সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও সিএইচটি ভিসিএফ-নেটওয়ার্ক কেন্দ্রিয় কমিটির সহ-সভাপতি সুরেশ কুমার চাকমা।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের বসবাসরত আদিবাসী জনগোষ্ঠীর প্রথাগত ভাবে সংরক্ষিত প্রাকৃতিক সৃষ্ট তিন শতাধিক সাধারন বন রয়েছে। এ সব বন যথাযথ সুরক্ষা করা সম্ভব হলে প্রাকৃতিক জীব বৈচিত্র্য রক্ষার পাশা- পাশি নিরাপদ পানিয় জল ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
বক্তারা আরো বলেন, এক সময় পার্বত্য এলাকায় জীব বৈচিত্র সমাহার ছিল। কালের গ্রাসে প্রাকৃতিক ধংসের কারণে এসব বিলুপ্তি পথে। পাহাড়ে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর প্রথাগত ভাবে সংরক্ষিত প্রাকৃতিক সৃষ্ট সাধারন বন সংরক্ষণ সম্ভব হলে আবারো প্রাকৃতিক জীব বৈচিত্র ফিরে আসবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.