২৬তম আন্তর্জাতিক এবং ১৯তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে রোববার রাঙামাটিতে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর, প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র এবং জেলা শিল্পকলা একাডেমীর আয়োজনে ও রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ এবং স্থানীয় সমাজকল্যাণ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাসমূহের সহযোগিতায় শিল্পকলা মিলনায়তনে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা।
জেলা সমাজসেবা বিভাগের আহবায়ক ও রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য স্মৃতি বিকাশ ত্রিপুরার সভাপতিত্বে বক্তব্যে দেন জেলা পরিষদ সদস্য মনোয়ারা আক্তার জাহান, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ নীহার রঞ্জন নন্দী, জেলা শিল্পকলার সহ-সভাপতি সুনীল কান্তি দে, জেলা শিল্পকলার সম্পাদক মুজিবুল হক বুলবুল, প্রতিবন্ধী স্কুল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের সম্পাদক নুরুল আবছার, প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা অমর চাঁন চাকমা বক্তব্য দেন। স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোঃ নজরুল ইসলাম। আলোচনা সভা শেষে প্রতিবন্ধীতা উত্তরণের সফল ব্যক্তি হিসেবে ৩জনকে সম্মাননা স্মারক ও বিভিন্ন ইভেন্টের খেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিবন্ধী শিশুদের মাঝে পুরস্কার এবং সহায়ক উপকরণ হুইল চেয়ার, ক্র্যাচ বিতরণ করেন অতিথিরা। পরে স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
এর আগে রাঙামাটি প্রতিবন্ধী স্কুল ও পুনর্বাসন কেন্দ্র থেকে একটি র্যালি বের হয়। র্যালিটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে গিয়ে শেষ হয়। এরপর আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বলেন, প্রতিবন্ধীদের জন্য বর্তমান সরকার প্রতিবন্ধী ভাতা প্রদানসহ বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে যা ইতোমধ্যে উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের ন্যায় তাদেরও রয়েছে বিভিন্ন প্রতিভা। সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানরা যদি প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে এগিয়ে আসে তাহলে তারাও একদিন দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনবে। তিনি বলেন, প্রতিবন্ধীরা আমাদের বোঝা নয়। তারা আমাদের সমাজেরই অংশ। জেলার প্রতিটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের কোন প্রতিবন্ধী যাতে তালিকা হতে বাদ না পরে সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখার জন্য সমাজসেবা বিভাগের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন চেয়ারম্যান।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.