মং সার্কেলের প্রয়াত রাজা এবং মুক্তিযুদ্ধেও সংগঠক মং প্রু সেইনের স্মৃতি বিজড়িত মং রাজবাড়ী পরিদর্শন করেছেন বিভাগীয় কমিশনার আব্দুল মান্নান।
খাগড়াছড়ি জেলা সফরের দ্বিতীয় দিন সোমবার সন্ধ্যায় বিভাগীয় কমিশনার মানিকছড়ির মং রাজবাড়ী পরিদর্শনে আসলে প্রয়াত রাজার জামাতা রাজীব রায় তাকে ফুল দিয়ে বরণ করেন এবং শুভেচ্ছা জানান।
পরে তিনি পার্বত্য মং সার্কেলের আবাসস্থল এবং মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত রাজপ্রসাদটি ঘুরে দেখেন। পরিদর্শনে আসেন।
বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান প্রয়াত মং রাজা মং প্রু সেইনের বিভিন্ন স্মৃতিচিহ্ন প্রত্যক্ষ করেন। এ সময় মানিকছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ম্্রাগ্য মারমা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আহ্সান উদ্দীন মুরাদ, অফিসার ইনচার্জ মো. মাইন উদ্দীন খান, দুপ্রক সভাপতি মো. আতিউল ইসলাম, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এম.কে. আজাদ, ইউপি চেয়ারম্যান মো. শফিকুর রহমান ফারুক, হিন্দু বিবাহ নিকাহ রেজিস্ট্রার বাদল বরণ সেন ও মং সার্কেলের কর্মচারী রাখাল চন্দ্র নাথ উপস্থিত ছিলেন।
চট্রগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান গত ১৭ ডিসেম্বর দু’দিনের সরকারি সফরে খাগড়াছড়ি আসেন। জেলায় প্রবেশের সময় তিনি মানিকছড়ি উপজেলায় বিভিন্ন দপ্তর পরিদর্শন, প্রকল্প উদ্বোধন ও মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা সভায় যোগদান করেন। ১৮ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম ফেরার পথে বিভাগীয় কমিশনার বিকাল ৫টায় মানিকছড়ি’র রাণী নিহার দেবী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে সম্প্রতি চালু হওয়া ‘সততা স্টোর’ উদ্বোধন করেন। এ সময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোফাজ্জল হোসেন তাকে স্বাগত জানান।
উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে মংরাজা মং প্রু সেইন তাঁর নিজস্ব তহবিল থেকে তৎকালীণ সময়ে ১১শত ডলার টাকা সরকারি তহবিলে জমা দেন এবং দু’টি জীপ গাড়ী ও অসংখ্য অস্ত্র মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে তুলে দিয়ে যুদ্ধে অংশগ্রহন করেন। প্রয়াত রাজা মং প্রু সেইনকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের দাবি জানিয়ে আসছে খাগড়াছড়ির মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের বিভিন্ন সংগঠন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.