সরকারী প্রতিশ্রুতি চাকুরী স্থায়ীকরণ পাঁচ বছরেও বাস্তবায়ন না হওয়াই ফুসে উঠেছে কমিউনিটি হেলথ্ প্রোভাইডাররা(সিএইচসিপি)। শনিবার থেকে সকল কার্যক্রম বন্ধ রেখে জুরাছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে চাকুরী জাতীয় করণের দাবীতে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচী পালন করছেন তারা।
এদিকে কমিউনিটি হেলথ্ কেয়ার প্রোভাইডার(সিএইচসিপি) এসোসিয়েশন জুরাছড়ি শাখার সভাপতি কলিন চাকমা ও সাধারণ সম্পাদক নিম্মি চাকমার স্বাক্ষরিত রোববার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্বারকলিপি প্রদান করেছেন।
স্বারক লিপিতে উল্লেখ করা হয়, দেশের প্রান্তিক দরিদ্র জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায স্বাস্থ্য সেবা পৌছে দেয়া এবং এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য দেশের ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবার কাঠামো সিএইচসিপিদের দ্বারাই নির্মিত এবং পরিচালিত হচ্ছে। তারপরেও নিজেদের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবন এক গভীর দুশ্চিন্তা ও হতাশার মাঝে জীবন ধারা অতিবাহিত করছেন তারা।
আরো উল্লেখ করেন, সরকারের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ২০১৩ সালে সামাজিক কর্মকান্ডে সফলতা এবং ডিজিটাল স্বাস্থ্য খাতে আমূল পরিবর্তনে সিএইচসিপিদের অগ্রনী ভূমিকা থাকায় চাকুরী স্থায়ীকরণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। কিন্ত আজ পর্যন্ত সিএইচসিপিদের চাকুরী স্থায়ীকরণের সরকারের পক্ষ থেকে কোন পদক্ষপ দৃষ্টিগোচর হয়নি। যার কারণে সিএইচসিপিদের মধ্যে সারা দেশে সাড়ে চার হাজার মুক্তিযোদ্ধা পরিবারসহ তের হাজার কর্মী ইনক্রিমেন্ট, বেতনবৃদ্ধিসহ অন্যান্য মৌলিক সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে মানবেত জীবন যাপন করছে বলে দাবী করেন তারা।
বনযোগীছড়া ও মৈদং ইউপি চেয়ারম্যান সন্তোষ বিকাশ চাকমা ও সাধনা নন্দ চাকমা বলেন, কমিনিউটি ক্লিনিক গুলোতে সরকারী ভাবে ডাক্তার পদায়ন করা হলেও কোন দিন তারা যাইনা। অথচ গ্রামীণ পর্যায়ে স্বাস্থ্য সেবা বাঁচিয়ে রেখেছে কমিনিউটি ক্লিনিকে হেলথ্ কেয়ার প্রোভাইডার। তারা দু’দিন ধরে সকল সেবা বন্ধ করে দেওয়াই স্থানীয় রোগীদের সমস্যায় পরতে হচ্ছে।
এদিকে কমিউনিটি হেলথ্ কেয়ার প্রোভাইডার মৈদং ইউনিয়নের লিজা, সালমা, নিম্মি জানিয়েছেন, সরকার ও অধিদপ্তর থেকে চাকুরী রাজস্ব করণের ঘোষনা না আসা পর্যন্ত কমিনিউটি ক্লিনিকে ফিরে যাচ্ছেন না। এছাড়া সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী সিএইচসিপিদের প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে স্বারকলিপি দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.