রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বলেছেন, পার্বত্য শান্তি চুক্তি অনুযায়ী পর্যটন পার্বত্য জেলা পরিষদে হস্তান্তর হলেও পরিষদের অনুমতি বা পরামর্শ ছাড়াই যত্রতত্রভাবে জেলার বিভিন্ন স্থানে পর্যটন স্পট গড়ে উঠছে, যা মোটেই কাম্য নয়।
পর্যটন ও পার্বত্যবাসীর উন্নয়ন আমরা অবশ্যই চাই উল্লেখ তিনি আরো বলেন, যারা সমন্বয় না করে এভাবে পর্যটন স্পট করছে তারা সরকারকে একদিন জবাব দিতে হবে। সকলকে সমন্বয় রেখে কাজ করতে হবে। সমন্বয় করে কাজ করলে এ জেলা অর্থনৈতিক-সামাজিক’সহ বিভিন্ন দিক দিয়ে এগিয়ে যাবে।
তিনি এ জেলার মানুষের জীবনমানের টেকসই উন্নয়নে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রতিষ্ঠান প্রধান এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী’সহ সবাইকে সমন্বিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
সোমবার রাঙামাটিতে জেলা উন্নয়ন কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে পরিষদ চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সভাকক্ষে পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ছাদেক আহমদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় সহকারী পুলিশ সুপার (সদর) ইউছুফ সিদ্দিকী, পিপিএম, রাঙামাটি চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট বেলায়েত হোসেন বেলাল, রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল’সহ জেলা ও উপজেলার বিভাগীয় কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সহকারী পুলিশ সুপার (সদর) ইউছুফ সিদ্দিকী বলেন, সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশ প্রশাসন হতে সবসময় কঠোর কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। যে কারণে জেলায় বড় ধরনের কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। যে কোন স্থানে মাদক বিক্রী ও সেবনের কোন তথ্য থাকলে তা পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়ে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানান তিনি।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী প্রিসলি চাকমা জানান, অধিদপ্তরের বাস্তবায়নাধীন বর্তমানে রাঙ্গামাটি সরকারী কলেজ কাম পরীক্ষা কেন্দ্র ৮৭, উলুছড়ি হাই স্কুল ৮৫, তুলাবান হাই স্কুল ৯০, কাউখালী কলেজ ৫৬, কেআরসি উচ্চ বিদ্যালয় ৯৫ ও টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের কাজ ১৫ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে।
তিন পার্বত্য জেলায় বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্পের কর্মকর্তা শেখ সাকিব হোসেন বলেন, জেলার শুকুরছড়ি বিদ্যুৎ সাব কেন্দ্রটি চালুর লক্ষ্যে যন্ত্রপাতি ক্রয়ের জন্য ৫৫টি টেন্ডার দেয়া হয়েছে। আগামী জুন জুলাইয়ের মধ্যে মালামাল পাওয়া গেলে কাজ শুরু হবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.