কাপ্তাই উপজেলায় মঙ্গলবার থেকে ৩ দিন ব্যাপী “ফলদ বৃক্ষ রোপন পক্ষ ও জাতীয় ফল প্রদর্শনী শুরু হলেও ক্রেতা শুণ্য।
কাপ্তাই উপজেলা কার্যালয় মাঠে তিন দিন ব্যাপী “ফলদ বৃক্ষ রোপন পক্ষ ও জাতীয় ফল প্রদর্শনীতে ত ১৮টি স্টল দেয় হয়েছে। এর মধ্যে উপজেলা কৃষি অফিসের ৪টি সহ মোট ১৩টি নার্সারী রয়েছে। তবে এ মেলা শুরু হলেও ক্রেতা শুন্য ষ্টলগুলোতে।
চট্টগ্রাম থেকে আসা ফতেয়াবাদ নার্সারীর মালিক আব্দুল কাদের বলেন, বিগত বছর গুলোতে অনেক বেচাবিক্রি হলেও এবার লোক জনের অভাবে বেচাবিক্রি নেই বললেই চলে। যে টাকা খরচ করে এখানে এসেছি এখন পূনরায় সেসব ফলদ গাছ গাড়ী ভাড়া দিয়ে নিয়ে যেতে হলে বাড়ী থেকে টাকা আনতে হবে।
মেলায় লোক সমাগম কম হওয়ার কারন সর্ম্পকে তিনি বলেন, আয়োজকদের কিছু গাফিলতি যেমন প্রচার-প্রচারনায় ঘাটতি বিশেষ করে লিফলেট বিতরণ না করা, বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে লোকজনকে জড়োকরার ক্ষেত্রে আয়োজকরা পিছেয়ে ছিল। একইভাবে কাপ্তাইযের রাইখালী ইউনিয়নের ভাইভাই হর্টিকালচার নার্সারীর মালিক মোঃ ইদ্রিস আলী বলেন, মানুষ জনের অভাবে বেচাবিক্রি তেমন নেই বললেই চলে।
ফলদ প্রদর্শনী জমে না উঠার বিষয়ে ইউএনও মোহাম্মাদ রুহুল আমীনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, কাপ্তাইয়ের এতবড় “ফলদ বৃক্ষ রোপন পক্ষ ও জাতীয় ফল প্রদর্শনীর উদ্ভোধন হলেও উদ্বোধনী খবরটি কোন মিডিয়ায় প্রকাশ পায়নি। শুনেছি আয়োজকরা কোন সাংবাদিককেও এ বিষয়ে জানায়নি।
এ ব্যাপারে আয়োজক উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সামসুল আলম চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এলাকায় মাইকিংসহ আমরা প্রচরনায় কোন ঘাটতি রাখিনি। বিগত বছরের তুলনায় এ বছর মেলা তেমন জমে না উঠার বিষয়টি স্বীকার করে তিনি আরও বলেন, কেন জমে উঠেনি এ বিষয়টি তার জানা নেই।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.