ধর্ষণের পর নির্মমভাবে হত্যার শিকার দীঘিনালার স্কুলছাত্রী কৃত্তিকা ত্রিপুরা’র শুক্রবার শ্রাদ্ধক্রিয়া অনুষ্ঠানে আত্মার শান্তি কামনা করে তার সমাধিস্থলে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রদীপ প্রজ্জলন ও পুস্পার্ঘ্য প্রদান করেছে। এছাড়া উপজেলার নয়মাইল এলাকায় তার পরিবার ও স্বজনরা সামাজিকভাবে ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াও কয়েক’শ মানুষের জন্য মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেছেন।
উল্লেখ্য, গেল ২৮ জুলাই স্কুলের টিফিন বিরতিতে বাড়িতে এসে প্রথমে ধর্ষণ এবং পরে নিষ্ঠুররভাবে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী কৃত্তিকাকে খুন করে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা। দেশে-বিদেশে আলোচিত ধর্ষণ ও নৃশংস খুনের দুই সপ্তাহ পার হতে চললেও পুলিশ এখনো এই ঘটনার কোন কিনারা করতে পারেনি। এই ঘটনার পর থেকে তিন পার্বত্য জেলা, ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের অনেক স্থানে কৃত্তিকা হত্যাকারীদের বিচার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে কর্মসূচি পালিত হয়।
কৃত্তিকা’র মা অনুমতি ত্রিপুরা জানান, তার দরিদ্র পরিবারের তিন ছেলেমেয়ের মধ্যে লেখাপড়া করে বড়ো হয়ে উঠার ভরসা ছিল কৃত্তিকাই। কিন্তু নরপশুরা তার বুকের ধনকে বীভৎস কায়দায় শেষ করে দিয়েছে। খুনীদের বিচার দেখে যেতে চায়।
বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদ-এর কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদক অনন্ত ত্রিপুরা জানান, ঘটনার পর বেশ কয়েকজনকে আটকের পর রিমা-ে নিয়েছে পুলিশ। অতীতেও এমনটা ঘটেছে। কিছুদিন যাওয়ার পর প্রশাসনের উদ্যোগ থেমে যায়। তাই আমরা এই ঘটনায় নিয়মিত ফলোআপের পাশাপাশি একটি লিগ্যাল এইড টীম গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। একই সাথে নিয়মতান্ত্রিক কর্মসূচিও অব্যাহত রাখবো।
খাগড়াছড়ির পুলিশ কর্মকর্তা আলী আহমদ খান দাবি করেন, অপরাধী যে হোক তাকে আইনের আওতায় আনতে পুলিশ তৎপর রয়েছে। এ পর্ষন্ত ৯ শিশু ও কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় ৫ টি মামলা হয়েছে। প্রতিটি মামলায় আসামীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.