খাগড়াছড়িতে দুর্বত্তদের ব্রাশ ফায়ারে ৭ খুনের ঘটনায় নিন্দা ও আসামীদের গ্রেফতার দাবি জানিয়ে ১২ ছাত্র-নারী-যুব সংগঠনের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়েছে।
পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি বিনয়ন চাকমার স্বাক্ষরিত এক প্রেস বার্তায় বলা হয়, এই ন্যাক্কারজনক হত্যাকাণ্ড কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। ধারাবাহিকভঅবে পাহাড়ে সন্ত্রাসী হামলা ও হত্যার ঘটনা ঘটছে কিন্তু কোনোহত্যাকাণ্ডেরই বিচার হচ্ছে না, এই বিচারহীনতার কারণে দুর্বৃত্ত ও খুনী-সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম্য দিন দিন বাড়িয়ে তুলেছে। রক্তের দাগ শুকাতে না শুকাতেই পার্বত্যচট্টগ্রাম বারবার রক্তে রঞ্জিত হচ্ছে। আজকে দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা চরমভাবে ভেঙে পড়েছে।
বিবৃতিতে খাগড়াছড়ির ৭ খুনসহ সকল হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবী জানানো হয়।
যুক্ত বিবৃতি সংগঠনগুলো হল হিলউইমেন ফেডারেশনের সভাপতি নিরুপা চাকমা, পিসিপির সভাপতি বিনয়ন চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সভাপতি অংগ্য মারমা বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি পারভেজ লেলিন, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি ইকবাল কবির, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা, ছাত্র গণমঞ্চের সভাপতি সাঈদ বিলাস, ছাত্র ঐক্য ফোরামের যুগ্ম আহবায়ক সরকার আল ইমরান, সিপিবি নারী সেলের আহবায়ক লক্ষী চক্রবর্তী, নারী সংহতির সাধারণ সম্পাদক অপরাজিতা চন্দ, বিপ্লবী নারী মুক্তির আহবায়ক নাসিমা নাজনীন ও বিপ্লবী নারী ফোরামের আমেনা আক্তার ।
উল্লেখ্য, গেল ১৮ আগস্ট খাগড়াছড়ি স্বনির্ভর বাজারে পুলিশ বক্স ও বিজিবি সেক্টর সদর দপ্তরের সন্নিকটে সশস্ত্র দুর্বৃত্ত কর্তৃক এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে পিসিপি’র ভারপ্রাপ্ত জেলা সভাপতি তপন চাকমা, সহ:সাধারণ সম্পাদক এল্টন চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম (ডিওয়াইএফ)-এর কেন্দ্রীয় সদস্য পলাশ চাকমা সহ ৭ জনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.