রাঙামাটিতে পৃথক দুটি পৃথক স্থানে অভিযান চালিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির(জেএসএস) কাউখালী উপজেলার সভাপতি সুভাষ চাকমা(৪০)সহ ৪জনকে গ্রেফতার করেছে যৌথবাহিনী। নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমা হত্যাকান্ডে সন্দেহভাজন হিসেবে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানায়, বুধবার দুপুরের দিকে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের ঘাগড়া বাজার এলাকা থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির উপজেলা শাখার সভাপতি সুভাষ চাকমাকে গ্রেফতার করে। অপরদিকে মঙ্গলবার রাতে সদর উপজেলার কতুকছড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে দিলীপ চাকমা (৪২), ঋতু চাকমা (৩৮) ও তুঙ্গরাম দেওয়ানকে (৩৬) গ্রেফতার করে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা। গতকাল বিকালে গ্রেফতারকৃতদের রাঙামাটি জেলা আদালতে তোলা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত ৪ জনকে নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও এমএন লারমা গ্রুপের নেতা শক্তিমান চাকমা হত্যাকান্ডে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হয়েছে।
রাঙামাটি আদালতের কোর্ট ইনসপেক্টর ইসরাফিল মজুমদার জানান, গ্রেফতারকৃতদের গতকাল রাঙামাটির আদালতে তোলা হলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট জাহিদ আহম্মদ তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, গেল ৩ মে রাঙামাটির নানিয়াচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমা অফিসে যাওয়ার সময় দুবৃর্ত্তদের গুলিতে নিহত হন। পর দিন শক্তিমান চাকমার শেষকৃত্যে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়ার সময় দুর্বৃত্তদের ব্রাশ ফায়ারে গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফের প্রধান তপন জ্যোতি চাকমা ওরফে বর্মাসহ ৫জন নিহত। এসব ঘটনায় নানিয়াচর থানায় পৃথক দুটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির জেলা কমিটির তথ্য, প্রচার ও দপ্তর সম্পাদক নগেন্দ্র চাকমার স্বাক্ষরিত এক প্রেস বার্তায় কাউখালি উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়ন বাজার এলাকা থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) কাউখালি থানা কমিটির সভাপতি সুভাষ চাকমাকে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
প্রেস বার্তায় অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার পূর্বক গ্রেফতারকৃত সুভাষ চাকমাকে নিঃশর্ত মুক্তির দাবী জানিয়ে বলা হয়, জেএসএস’র নেতা সুভাষ চাকমাকে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় জড়িত করে গ্রেফতার করা হয়েছে। নানিয়ারচর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমা হত্যা মামলায় জড়িত করে রাঙামাটি জজ কোর্টের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.