রাঙামাটিতে অবৈধ অস্ত্রধারীরা, ভোট ডাকাতরা এখন বিএনপির ঘাড়ে চাপার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন রাঙামাটি আসনের আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী ও আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সদস্য দীপংকর তালুকদার।
তিনি বলেন, তারা মনে করছে বিএনপিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বেশি তাই কেউ হবে না। সুতারাং বিএনপি জেএসএসকে সমর্থন দেবে। এবার এটাও শোনা যাচ্ছে জেএসএস নির্বাচন থেকে সরে দাড়াবে। ইউপিডিএফ থেকেও তারা মনোনয়ন প্রত্র নিয়েছে। মনোনয়নপত্র তারা জমা দিতে পারে আবার নাও দিতে পারে। তবে আমাদের এগুলো বড় কথা নয়। শত্রু যেই হোক না কেন আমরা তাদের কখনও দুর্বল ভাববো না। শত্রুদের পরাজিত করার শক্তি আমাদের রয়েছে। এই ধীর মনোভাব নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
সোমবার বিকালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আওয়ামীলীগের তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সাথে মতবিনিময় প্রধান অথিতির বক্তব্যে দীপংকর তালুকদার এসব কথা বলেন।
রাঙামাটি পৌর আওয়ামীলীগের উদ্যোগে আয়োজিত রাঙামাটি পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি হাজী সোলায়মান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্যে দেন জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি চিংকো রোয়াজা, সাংগঠনিক সম্পাদক জমির উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক হাজী মুছা মাতাব্বর, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মনসুর আলী, পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী, প্যানেল মেয়র জামাল উদ্দিন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুল জব্বার সুজন, রাঙামাটি জেলা সন্ত্রাস বিরোধী সংগঠনের সভাপতি স্নেহাশীষ বড়ুয়া সেন্টু প্রমুখ।
প্রচার-প্রচারণা নিয়ে দীপংকর তালুকদার বলেন, অনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হবে তখন কে দলের পাশে দাড়াচ্ছে কে দাড়াচ্ছে না, এসমস্থ বিষয়গুলো আরো বেশি স্পষ্ট হয়ে দাড়াবে। আমরা তখন আরো বেশি সভা, সমাবেশ ইত্যাদি করবো। বিজয়ের জন্য পরিশ্রমের কোন বিকল্প নেই।
মতবিনিয় সভায় বক্তারা বলেন, অবৈধ অস্ত্রধারীরা যদি এবার কোন রকম ভোট ডাকাতির চেষ্টা করে তাহলে কেন্দ্রেই তাদের প্রতিহত করা হবে। এবার কোন রকম ভোট ডাকাতি করার সুযোগ দেওয়া হবে না। আসন পেতে হলে জনগণের ভালবাসার মাধ্যমে পেতে হবে।
দীপংকর তালুকদার আরো বলেন, রাঙামাটিতে আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরা এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। দেশের অন্যন্যা আসনে ৫২জন, ৩২, ২০জন পর্যন্ত মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন। খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানেও অনেকজন মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন। কিন্তু রাঙামাটির আসনে শুধু একজনই মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন এবং তিনিও দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। এতে করে প্রমাণ হয়, এর চাইতে দলের প্রতি সংহতিবোধ, আনুগতবোধসহ দৃষ্টান্ত আর হতে পারে না। আর এই দৃষ্টান্ত আওয়ামীলীগের নেতারাই সৃষ্টি করেছেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.