অবশেষে সেনাবাহিনীর সহায়তায় বাঁশ পরিবহনের অনুমতি পেলো ব্যবসায়ীরা

Published: 04 May 2020   Monday   

খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় দীর্ঘ দেড়মাস বন্ধ থাকার পর অবশেষে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় বাঁশ পরিবহনের অনুমতি পেলো স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। করোনা ভাইরাসের কারনে পরিবহন সংকট ও বন বিভাগের ছাড়পত্র না পাওয়ায় উপজেলার বাবুছড়া বাজার সংলগ্ন মাইনী নদীতে আটকে ছিল আড়াই কোটি টাকা মূল্যের নানা প্রজাতির পাঁচ লক্ষাধিক বাঁশ।

 

এ অবস্থায়  গেল ২৭ এপ্রিল দীর্ঘ দেড়মাসেও মিলেনি বন বিভাগের ছাড়পত্র, দীঘিনালায় মাইনী নদীতে নষ্ট হচ্ছে আড়াই কোটি টাকা মূল্যের বাঁশ শিরোনামে অনলাইন পত্রিকা হিলবিডিটোয়েন্টিফোর ডটকমে একটি প্রতিবেদন প্রকাশের পর ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসে দীঘিনালা জোনের সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় বন বিভাগের ছাড়পত্র (টিপি) পাওয়ার পর  গেল ২ মে থেকে পুরোদমে শুরু হয়েছে বাঁশ পরিবহন।

 

 এদিকে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় দেড়মাস পর বাঁশ পরিবহন শুরু হওয়ায় স্বস্তি ফিরে এসেছে ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের মাঝে। একমাত্র সেনাবাহিনীর সহযোগিতার কারনে মোটা অংকের লোকসানের হাত থেকে বেচে গেছেন প্রায় অর্ধ শতাধিক ব্যবসায়ী। পাহাড়ী ঢলের ¯্রােতে বাঁশ ভেসে যাওয়ার আশংকার মাঝে পরিবহনের অনুমতি পাওয়ায় মহা খুশি তারা। তাই ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি ব্যস্ততম সময় পার করছেন শ্রমিকরাও। প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন এলাকায় পরিবহন করা হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ ট্রাক বাঁশ।

 

 বাবুছড়া বাঁশ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি অরুন বিকাশ চাকমা জানান, দীঘিনালা জোন অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল আদনান কবির পিপিএম (বার) পিএসসি ও উপ অধিনায়ক মেজর তৌহিদুল ইসলার পিএসসি’র সহযোগিতায় বন বিভাগ আমাদেরকে সমতল এলাকায় বাঁশ পরিবহনের জন্য ছাড়পত্র (টপি) দিয়েছে। ছাড়পত্র না পেলে আমরা বাঁশ পরিবহন করতে পারতাম না। তখন প্রতিটি ব্যবসায়ীকেই গুনতে হতো মোটা অংকের লোকসানের হিসাব। একমাত্র সেনাবাহিনীর সহযোগিতার কারনেই আমরা মোটা অংকের লোকসানের হাত থেকে বেঁচে গিয়েছি। তাই বাঁশ ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের পক্ষ থেকে সেনাবাহিনীসহ বন বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।

 

বাবুছড়া বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি মুজিবুর রহমান জানান, এই এলাকার যেকোন সংকটে সাধারন মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে আসে সেনাবাহিনী। তারই ধারাবাহিকতায় স্থানীয় বাঁশ ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায়ও এগিয়ে এসেছে সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনীর সহযোগিতা না পেলে প্রতিটি বাঁশ ব্যবসায়ীকে সর্বস্বান্ত হতে হতো। একমাত্র সেনাবাহিনীর সহযোগিতার মাধ্যমে বাঁশ পরিবহনের অনুমতি পাওয়ায় ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে বলে জানান তিনি।

 

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাজী মোঃ কাশেম জানান, বাঁশ ব্যবসার সাথে ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক শ্রমিক সম্পৃক্ত রয়েছে। দীর্ঘ দেড়মান ধরে বাঁশ পরিবহন বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের মাঝে যে হাতাশা সৃষ্টি হয়েছিল সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় বাঁশ পরিবহনের অনুমতি পাওয়ার পর তা কেটে গেছে। সাধারন মানুষের কল্যাণে সেনাবাহিনীর এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবীদার বলে জানান তিনি।      

--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

 

 

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত