বাংলাদেশকে ভারতের ৩০ হাজার কোভিড-১৯ কিট সহায়তা

Published: 08 May 2020   Friday   

ভারত বাংলাদেশে ৩০ হাজার করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ কিট সহায়তা করেছে। গেল ৬ মে বাংলাদেশের নিযুক্ত ভারতের হাই কমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেনের কাছে এসব কিট হস্তান্তর করেন। ভারতের এই সহায়তা ছিল তৃতীয় দফা। গেল ৬ মে বাংলাদেশের নিযুক্ত ভারতের হাই কমিশন থেকে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়।


সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হাই কমিশনার শ্রীমতি রীভা গাঙ্গুলি দাশ আরটি-পিসিআর কোভিড-১৯ শনাক্তকরণ কিট সমন্বিত জরুরি চিকিৎসা সহায়তার তৃতীয় চালান গেল ৬ মে বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেনের কাছে হস্তান্তর করেন। এই কিটগুলির সাহায্যে ৩০ হাজার পরীক্ষা করা সম্ভব হবে। এর আগে গেল ২৯ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে টেলিফোনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এর বিস্তার নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং স্বাস্থ্য, অর্থনীতিতে এই মহামারিটির প্রভাব হ্রাস করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সহায়তা ভারতের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছিলেন।


হাই কমিশন জানায়, এই আরটি-পিসিআর শনাক্তকরণ কিটগুলি ভারতের মাইল্যাব ডিসকভারি সলিউশন প্রাইভেট লিমিটেড দ্বারা উৎপাদিত এবং কোভিড-১৯ শনাক্তকরণের জন্য ভারতে বহুল ব্যবহৃত। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, বাংলাদেশ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই শনাক্তকরণ কিট প্রাপ্ত প্রথম অংশীদার দেশ যা এই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রতি ভারতের গুরুত্বকে প্রতিফলিত করে। ভারতের প্রতিবেশী প্রথমে নীতির অংশ হিসেবে এবং কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে একটি সহযোগিতামূলক আঞ্চলিক প্রচেষ্টার লক্ষ্যে গেল ১৫ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী সার্ক নেতাদের নিয়ে একটি ভিডিও সম্মেলন করেছিলেন।


দুই দেশের মধ্যকার কালোত্তীর্ণ বন্ধুত্বের কথা স্মরণ করে বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন মহামারী সংক্রমণের পর তিন দফায় ভারতের সহায়তা প্রশংসা করেন এবং বলেন যে, শনাক্তকরণ কিটগুলি বাংলাদেশে পরীক্ষার সংখ্যা বাড়িয়ে দেবে যা এই মুহুর্তে খুব প্রয়োজন।


সার্ক কোভিড-১৯ জরুরি তহবিলের আওতায় কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টায় সাহায্য করার উদ্দেশ্য এই সহায়তা দেয়া হয়েছে। তাৎক্ষণিক ব্যবহার উপযোগী এই পরীক্ষার কিটগুলি বাংলাদেশ সরকারকে ব্যাপকভাবে পরীক্ষা করার লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করবে। আরটি-পিসিআর পরীক্ষার কিটগুলি বাংরাদেশ সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে(আইইডিসিআর) পাঠানো হয়েছে। পরীক্ষা কিটগুলি প্রয়োজনীয় তাপমাত্রায় সংরক্ষিত অবস্থায় ইন্ডিগোর একটি ফ্লাইটে বাংলাদেশে নিয়ে আসার পর আইইডিসিআর-এ পাঠানো হয়।


প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘোষণায় ভারতের ১০ মিলিয়ন ডলার প্রাথমিক সহায়তা নিয়ে সার্ক কোভিড-১৯ জরুরি তহবিল গঠিত করা হয়। এই তহবিলের অধীনে ৩০ হাজার সার্জিক্যাল মাস্ক এবং ১৫ হাজার হেড-কভার সমন্বিত জরুরি চিকিৎসা সহায়তা প্রথম চালান ২৫ মার্চ বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেনকে হস্তান্তর করা হয় এবং ২৬ এপ্রিল ১ লাখ হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন ট্যাবলেট এবং ৫০ হাজার জীবাণুমুক্ত সার্জিকাল ল্যাটেক্স প্লাভস সমন্বিত জরুরি চিসিৎসা সরবরাহের দ্বিতীয় চালানটি বাংলাদেশ সরকারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।


এছাড়াও, ভারতীয় কারিগরি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা(আইটিইসি) কাঠামোর আওতায় অনলাইন কোর্স পরিচালনা করে সার্ক দেশগুলির চিকিৎসা পেশাজীবিদের সহায়তা করতে এগিয়ে এসেছে ভারত। এই জাতীয় দুটি ই- আইটিইসি কোর্স গেল ১৭.২১ এপ্রিল ২০২০ রায়পুরেরর অল ইন্ডিয়া ইনষ্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সস (এআইআইএমএস) এবং ২৭ এপ্রিল ও ৬ মে চন্ডীগড়ের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইনষ্টিটিউট অভ মেডিকেল এডুকেশন এন্ড রিসার্চ কর্তৃক পরিচালিত হয়েছে। এপর্যন্ত বাংলাদেশের ১৫০ জনেরও বেশি স্বাস্থ্য পেশাজীবি এ কোর্সগুলো দ্বারা উপকৃত হয়েছেন।


বর্তমানে বাংলাদেশী অংশগ্রহণকারীদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি একটি ই-আইটিইসি কোর্সের আয়োজন নিবন্ধন চলছে। এই কোর্সটি গেল ১২-১৩ মে ২০২০ পর্যন্ত ভূবনেশ্বরের অল ইন্ডিয়া ইনষ্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেস (এআইআইএমএস) কর্তৃক বাংলা ভাষায় পরিচালিত হবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

 

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত