বরকলে ছাত্রদলের আহ্বায়কের বড় ভাই মোঃ ইসমাইল হাতে এক যুবক মারধরের শিকারের অভিযোগ

Published: 06 Sep 2020   Sunday   

রাঙামাটির বরকল উপজেলায় ছাত্রদলের অাহ্বায়ক মোঃ ইব্রাহিম এর বড় ভাই মোঃ ইসমাইল এর হাতে এক যুবক মারধরের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে । সুবলং ইউনিয়নের বরুণাছড়ি গ্রামের  ১০ নম্বর এলাকায়  ৫ সেপ্টেম্বর দুপর ১টায় এ ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। ঘটনার শিকার হওয়া ব্যক্তি মোঃ লেবু মিয়ার ছেলে  ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত মোঃ হেমায়েদ অালমের নাতি মোঃ নজিবুল বশর (২১)।

 

স্থানীয়সূত্রে জানা যায়,মোঃ নজিবুল বশর (বড় মিয়া) কেচকি জালের নৌকায় কাজ করেন। অার জালের মালিক হলেন মোঃ ইব্রাহিম। শনিবার দুপুরে হটাৎ জালের নৌকায় কাজ করা অন্য লোকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে জালের মালিক ইব্রাহীম ও তার বড় ভাই ইসমাইল এসে কোন প্রকার জিজ্ঞাসা ছাড়ায়  নজিবুলকে কেচকি জালের ঢাং (লাঠি) দিয়ে বেধরক মার ধর করে বলে অভিযোগ। এতে নজিবুল বশরের হাত কেটে যায় এবং প্রচুর রক্তপাত হয়। পরে নজিবুল বশর( বড়মিয়া) নিজের প্রাণ বাঁচানোর জন্য সেখানে  থেকে পালিয়ে যান বরুনাছড়ি বাজারে ।

 

এদিকে সেখানে পৌঁছে  সুবলং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ন- সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাফর মোল্লাকে কাছে পেয়ে ঘটনাটি স্ববিস্তারে খুলে বলে।সাথে সাথে জাফর মোল্লা নিজে জালের মালিক ইব্রাহিমকে ফোন দিয়ে বাজারে আসতে বলে।এরপর তারা বাজারে আসলে তাদের কাছে ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা উল্টো নজিবুল বশরকে দোষারোপ করে এবং বলে সে নাকি নিজেই, নিজের শরীরে এ আঘাত এবং যখম করেছে।

 

এব্যাপারে জাফর মোল্লা উভয়কে এলাকায় বসে ঘটনাটির  মীমাংসা করার পরামর্শ দেন। কিন্তু এতে মোঃ ইব্রাহিম ও তার বড় ভাই মোঃ ইসমাইল পরামর্শটি মেনে নেননি।পরবর্তীতে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ এর সহ সভাপতি জনাব,আঃ রব বাজারে এসে দেখে নজিবুল বশরের অবস্থা অাশংকাজনক দেখে তাৎক্ষণিক চিকিৎসার জন্য  রাঙামাটি সদর হাসপাতালে পাঠানোর নির্দেশ দিলে সাথে সাথে তাকে হাসপাতালে  যাওয়া হয়।বর্তমানে  তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন । 

 

স্থানীয়রা আরো জানান,পূর্বেও নাকি এ ধরনের অনেক বড় বড় অপরাধমূলক ঘটনা ঘটিয়ে আসছে ঈসমাইল ও তার ভাই। এমনকি এধরনের ঘটনা৷ তারা প্রায় করছে বলে স্থানীয়রা জানায়।

 

ঘটনার আহত ব্যক্তির বড় ভাই মুজিবর এর কাছে জানতে চাইলে সে বলে,আমার ছোট ভাইকে নির্দোষ ভাবে ইব্রাহিম এবং তার বড় ভাই ঈসমাইল আমার ভাইকে হত্যা করার চেষ্টা চালায় এবং তাকে যেভাবে মেরে যখম করে দিয়েছে এধরনের কাজ মানুষ কখনোই করতে পারে না। তার দাদা একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।তিনি বরকল উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ছিলেন।আমার দাদা এ দেশ ও দেশের মানুষের জন্য নিজের জীবন বাজি রেখে এ দেশকে একদিন স্বাধীন করেছেন। তারা নিতান্তই গরীব হতে পারে মানুষের কাজ করে জীবন জীবিকা  নির্বাহ করেন কিন্তু  তার দাদার নীতি  আদর্শকে এখনো বুকে ধারণ করেন অার কোনো অবস্থাতেই তা নষ্ট করবে না। তার  ছোটো ভাই নজিবুল বশরের  প্রাণ নাশের যে হত্যা চেষ্টা করা হয়েছে।  তিনি ঘটনার সুষ্ঠুতা যাচাই করে আসল অপরাধীদের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবির পাশাপাশি প্রশাসনসহ প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।  

 

 ঘটনার ব্যাপারে মোঃ ইসমাইলের কাছে জানতে চাইলে তিনি  জানান,ছেলেটি জালের নৌকায় কাজ করে। ছেলেটিকে অন্য ছেলেদের সাথে কথা কাটাকাটি করতে দেখে দুএকটু মারধর করেছি। কারণ অন্য ছেলেরা বাইরে থেকে এসে কাজ করছে। যদি নিজের স্থানীয় ছেলে দোষ করার পর কোন পদক্ষেপ না নিই তাহলে তারা খারাপ মনে করবে। তাই মারধর করি যাতে অন্যরা সান্ত্বনা পাই। কিন্ত নজিবুল বশর নিজেই নিজের শরীরে অাঘাত করেছে বলে তিনি জানান। 

 

তিনি আরো জানান, নজিবুল বশরের  চিকিৎসার সকল খরচ বহন করার প্রতিশ্রুতি দিলেও এক পক্ষ ছেলেটিকে দিয়ে ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা চালাচ্ছে।   

           

 উপজেলা ছাত্রদলের  আহবায়ক ও কেচকি জালের মালিক ইব্রাহীম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,তিনি এই ঘটনা সম্পর্কে তেমন কিছুই জানেন না।তবে ছেলেটি অামার এখানে জালে কাজ করে।অার অামি ঘটনার ব্যপারে  যতটুকু শুনেছি ছেলেটির সাথে অন্য ছেলেরদের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে উভয়ের মধ্যে মারামারিও হয়।  ছেলেটিকে কোন প্রকার মারধর করা হয়নি।তাকে ফাঁসানোর জন্য এসব ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।

 

এ ঘটনার ব্যপারে জানতে বরকল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জসিম উদ্দিন এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনাটি জানেন না বলে জানান। তবে এ ব্যাপারে কেউ অভিযোগ করতে আসলে মামলা নেয়া হবে।

--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

 

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত