বালুখালী ইউনিয়নে হিল ফ্লাওয়ারের কৃষক সংলাপ অনুষ্ঠিত

Published: 23 Nov 2020   Monday   

জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজনে জনগোষ্ঠীর সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সুশীল সমাজ ও সরকারী প্রতিষ্ঠানে শক্তিশালী করণ প্রকল্পের আওতায়  সোমবার রাঙামাটির বালুখালী ইউনিয়নে কৃষক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

বাদলছড়ি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা হিল ফ্লাওয়ারের আয়োজনে ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে সংলাপে প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক পবন কুমার চাকমা।

 

বালুখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিজয় গিরি চাকমার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, রাঙামাটি সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আপপ্রু মারমা, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালরে বন বিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড.নিখিল চাকমা।  স্বাগত বক্তব্যে দেন ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার ওমনি চাকমা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন হিল ফ্লাওয়ারের প্রজেক্ট ম্যানেজার জ্যোতি বিকাশ চাকমা। এসময়  বালুখালী ইউনিয়নের ওয়ার্ড মেম্বারসহ বাদলছড়ি এলাকার কারবারী, হেডম্যানসগ গণ্যামান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলন। সমাবেশে বাদলছড়ির কৃষক –কৃষানীরা উপস্থিত ছিলেন।

 

অনুষ্ঠানে কৃষকরা কৃষি নিয়ে নানা জিজ্ঞাসা ও মতামত জানতে চান। এতে রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক পবন কুমার চাকমা ও  রাঙামাটি সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আপপ্রু মারমা প্রশ্নের উত্তর দেন। এসময় কৃষকরা ধান চাষের জন্য ছড়ায় একটি বাধ দেয়ার জন্য অনুরোধ জানালে পবন কুমার চাকমা বাদলছড়ি কৃষকদের জেলা পরিষদের দরখাস্ত দেয়ার অনুরোধ জানান এবং তা বাস্তবায়নের জন্য সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস দেন। এছাড়া আপপ্রু মারমা বিদ্যালয়ের চার পাশে গাছ লাগানোর একশটি সুপারি গাছ বিনামূল্য দেয়ার ঘোষনা দেন।

 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক পবন কুমার চাকমা বর্তমানে কারোনা কাল চলছে এই করোনার সাথে দীর্ঘ দিন ধরে মোকাবেলা করতে হবে। তাই সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।

 

তিনি বলেন, বন না থাকলে পানি থাকবে না। তাই আম কাঠালসহ বিভিন্ন উপকারী গাছগাছালি বেশী পরিমাণে লাগাতে হবে। নতুন নতুন চাষে মনোনিবেশ করতে হবে। নতুন নতুন ফসলের চাষ করলে যথেষ্ট লাভবান হবেন।

 

তিনি আরো কত ক্ষেত্রে কীট নাশক না দেয়ার জন্য কৃষকেদের নিরুৎসাহিত করে বলেন, কীট নাশক প্রয়োগ করলে গাছ বাঁশ ও মাছের হচ্ছে। পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। কীটনাশক ক্ষেত্রে কৃষি বিভাগ থেকে পরামর্শ নিয়ে ক্রয় করার আহ্বান জানান।

 

তিনি বলেন, হাইব্রিট ফসলের উপর নির্ভর করবেন না। কারণ হাইব্রিট থেকে বীজ পাওয়া যায় না। হাইব্রিট ফসল না লাগিয়ে উন্নতজাতের ফসল লাগাতে হবে। বীজ সংগ্রহ ক্ষেত্রে সজাগ থাকতে হবে। কৃষি বিভাগের ডিলারদের কাছ থেকে বীজ ক্রয় করবেন।

 

তিনি কৃষকদের সূর্ষমূখী চাষের উপর জোর দিয়ে বলেন, সূর্ষমূখী তৈলের প্রচুর চাহিদা রয়েছে।  সূর্ষমূখী বীজ বিক্রির ক্ষেত্রে কৃষি বিভাগ সহযোগিতা করবে। পাশাপাশি তিনি ফুল ঝাড়ু চাষেও কৃষকদের এগিয়ে আসতে বলেন। 

 

সভাপতির বক্তব্যে বালুখালী ইউপি চেয়ারম্যান বিজয়গিরি চাকমা বলেন, সেগুন গাছ লাগালে ছড়া থেকে অনেক দুরে লাগাতে হবে। কারণ সেগুন গাছ পরিবেশ ক্ষতি করে এবং সেগুন গাছ যেখানে থাকে ছড়ায় পানি শুকয়ে যায়। সেজন্য সেগুন গাছ লাগানোর ক্ষেত্রে আমাদের চিন্তাভাবনা করতে হবে। তিনি আরো বলেন, পরিবেশকে ক্ষতি না করে এরকম গাছ লাগাতে হবে। প্রাকৃতিক বন সৃষ্টি করতে হবে।

--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

 

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত