বরকলে আর্ন্তজাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ও বেগম রোকেয়া দিবস পালিত

Published: 09 Dec 2020   Wednesday   

আর্ন্তজাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস উদযাপন উপলক্ষে বুধবার শ্রেষ্ঠ জয়িতার সম্মাননা প্রদান ও অালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

 

রাঙামাটির বরকলে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ও বেসরকারি সংস্থা   প্রগ্রেসিভ এর যৌথ উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বরকল উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম মনজুরুল হক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বরকল উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শ্যাম রতন চাকমা। বিশেষ অতিথি ছিলেন বরকল উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সুচরিতা চাকমা। বরকল উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের কর্মকর্তা সুস্মিতা খীসার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি বিহারী চাকমা, বরকল রাগীব রাবেয়া কলেজ অধ্যক্ষ নৈচিং রাখাইন(শ্রেষ্ঠ জয়িতা) এবং জ্ঞান দেবী চাকমা (শ্রেষ্ঠ জয়িতা)।

 

এসময় বরকল উপজেলা প্রেস ক্লাবের সদস্য নিরত বরন চাকমা,বেসরকারি  সংস্থা  প্রগ্রেসিভ (এনজিও)এর  উপজেলা ফিল্ড  অফিসার  জোনাকি  চাকমা,উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রশিক্ষক কামনা চাকমা,সেলাই ট্রেডের প্রশিক্ষক সুচরিতা চাকমা ও বিউটিফিকেশন ট্রেডের প্রশিক্ষক সঞ্চিতা চাকমা সহ বিউটিফিকেশন ও সেলাই ট্রেডের প্রশিক্ষণার্থীবৃন্দ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

 

আলোচনা সভা শেষে শিক্ষা ও চাকুরীর ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনের জন্য ও নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন পরিচালনার জন্য ২জন জয়িতাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।

 

প্রধান অতিথি বক্তব্য উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শ্যাম রতন চাকমা বলেন, বেগম রোকেয়ার অবদানে নারী সমাজ এগিয়ে।তিনি বলেন, বেগম রোকেয়া জীবনাদর্শ সম্পর্কে অধ্যয়ন করলে বুঝা যায় তিনি ছিলেন  নারীদের অনুপ্রেরণাদানকারী।তার অবদানে নারী সমাজ অাজ পুরুষের সহবস্থানে। 

 

তিনি আরো বলেন,বেগম রোকেয়া স্বামীর মৃত্যুর অাগে রেখে যাওয়া সঞ্চয়ী অর্থ দিয়ে   কলকাতায় ৮জন শিক্ষার্থী নিয়ে স্কুল প্রতিষ্ঠা করে নারী সমাজে বড় অবদান রেখে গেছেন।

 

তিনি আরো বলেন  বেগম রোকেয়ার মতো প্রত্যক নারীর উদ্দেশ্য থাকা উচিত। তিনি বরকল উপজেলা অতীত ও বর্তমান শিক্ষার  অবস্থার প্রেক্ষাপটে  আলোকপাত করে বলেন,৮০এর  দশকে জুনিয়র স্কুল এবং কলেজ না থাকায় মেট্রিক পাশ,এইচএসসি  পাশ ছাত্র ছাত্রী খুঁজে পাওয়া বড় কষ্টকরে ছিল।  আর সেই জায়গায় বর্তমানে স্কুল,কলেজ প্রতিষ্ঠা হওয়ায় মেট্রিক পাশ, এইচএসসি এ পাশের অভাব নেই বলে মন্তব্য করেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শ্যাম রতন চাকমা। 

 

সভাপতি বক্তব্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম মনজুরুল হক বলেন,বিংশ শতাব্দীতে  নারী জাগরণের অগ্রদূত ছিলেন বেগম রোকেয়া। ১৮৮০ সালে ৯ ডিসেম্বর বেগম রোকেয়ার জন্ম।তিনি ৫২ বছর জীবনে নারী জাগরণে যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গেছেন তা অতুলনীয়। 

 

তিনি বলেন, প্রতি বছর ন্যায় জাঁকজমকপূর্ণভাবে রোকেয়া দিবস উদযাপন করা হতো। কিন্তু বৈশ্বিক মহামারী করোনা পরিস্থিতির কারণে স্বল্প পরিসরে উদযাপন করা হলেও দিবসটি সাফল্যমণ্ডিত হয়েছে বলে সন্তোষ প্রকাশ করেন। 

 

তিনি আরো বলেন, জয়িতা হচ্ছে নারী জাগরণের প্রতীক। জন্মসূত্রেই নারীরাই জয়িতা। একজন নারীই পারে জাতি সৃষ্টি করতে পারে।নারীদের মাধ্যমে পরিবার থেকে শুরু করে সমাজ,রাষ্ট্র সকল ক্ষেত্রে ভালো কিছু আশা করা যায় বলে মন্তব্য করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম মনজুরুল হক।

--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

 

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত