মঙ্গলবার রাঙামাটির সদর উপজেলার বন্দুক ভাঙ্গা ইউনিয়নের ত্রিপুরাছড়া বৈশালী নগর বনবিহারে উদযাপিত হয়েছে দিনব্যাপী ১১তম দানোত্তম কঠিন চীবর দানোৎসব।
অনুষ্ঠানে ধর্ম দেশনা দেন মহাসাধক বনভান্তের অন্যতম শিষ্য শ্রীমৎ নন্দপাল মহাস্থবির। আরো ধর্মদেশনা দেন, দীঘিনালা ধুতাঙ্গটিলা বনবিহারের বিহার অধ্যক্ষ দেবধাম্মা মহাস্থবির,অজলচুগ বনবিহারের বিহার অধ্যক্ষ সত্যমতি স্থবির, রাঙামাটি রাজবন বিহারের ভিক্ষু মেত্তাবংশ মহাস্থবির, ত্রিপুরাছড়া বৈশালী নগর বনবিহারের বিহার অধ্যক্ষ বিমলাসার ভিক্ষু প্রমূখ। অনুষ্ঠানে পঞ্চশীল পাঠ করেন ঈশিতা চাকমা ও চিত্র রঞ্জন চাকমা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিহার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও ৯নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কিরণ চাকমা। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, বিশিষ্ট সমাজসেবক অমর চাকমাসহ অন্যান্য প্রমূখ।
এর আগে প্রাতরাশ, বুদ্ধপুজা, বুদ্ধমূর্তিদান, সংঘদান, অষ্টপরিষ্কার দান, পঞ্চশীল প্রার্থনাসহ নানাবিধ দান অনুষ্ঠান করা হয়। অনুষ্ঠানে শত শত পূণ্যার্থীর ঢল নামে।
অনুষ্ঠানে ধর্মীয় দেশনায় বৌদ্ধ ভিক্ষুরা বলেন, মানুষের সুন্দর চরিত্র হচ্ছে প্রকৃত সৌন্দর্য্য। জ্ঞান-প্রজ্ঞা-সাধনার মধ্যে দিয়েই চারিত্রিক সৌন্দর্য্য গড়ে তুলতে হয়। উদার মন-মানসিকতার অধিকারী ব্যক্তির দান, শীল ভাবনার মাধ্যমে মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করতে পারে। সে জন্য মানব জীবনে সৌন্দর্য্য গুরত্ব রয়েছে। কঠিন চীবর দানই হচ্ছে একমাত্র শ্রেষ্ঠ দান।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.