কাউখালী স্থায়ী ব্যবসায়ী কল্যান পরিষদের নির্বাচন শনিবার সম্পন্ন হয়েছে।
কাউখালী প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সকাল দশটা থেকে বিকাল তিনটা পর্যন্ত বিরতীহীন ও জাকজমক ভাবে অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে টুন্টু লাল দে সভাপতি ও মোঃ মাঈন উদ্দিন সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছে। মোট তেরটি টি পদের বিপরীতে চারটি পদে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। অন্যান্য পদ গুলোর প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত হয়।
কাউখালী উপজেলা সদর ও আশে পাশের এলাকার ব্যসায়ীদের নিয়ে বিগত সতের বছর পূর্বে কাউখালী স্থায়ী ব্যবসায়ী কল্যান পরিষদ নামে ব্যবসায়ীদের এ সংগঠনের যাত্রা শুরু হয়। এ পর্যন্ত এ ধরনের জমজমাট নির্বাচন আর হয়নি। এবারই প্রধম অত্যন্ত জাকজমক ও শান্তিপূর্নভাবে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
কাউখালী স্থায়ী ব্যবসায়ী কল্যান পরিষদ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোঃ ইসহাক সওদাগর জানিয়েছেন, গতকাল অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে মোট ভোটার ছিল ২২১ জন। এর মধ্যে ২০৬ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। সভাপতি, সাধারন সম্পাদক, অর্থ সম্পাদক ও যুগ্ন সম্পাদক পদে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। টুন্ট লাল দে সভাপতি পদে (চেয়ার) ১০৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি ছিলেন এ সংগঠনের প্রতিষ্টালগ্ন থেকে নির্বাচিত সভাপতি মোঃ জাফর উল্যা। তিনি (ছাতা) পেয়েছেন ৯৮ ভোট। সাধারন সম্পাদক পদে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। এতে মোঃ মাঈন উদ্দিন(হরিন) ১০৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি মোঃ মনিরুল ইসলাম সরকার(গোলাপ ফুল) পেয়েছেন ১০২ ভোট। অর্থ সম্পাদক পদে মোঃ গফুর ১১৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি বাবু বড়–য়া পেয়েছেন ৯২ ভোট। যুগ্ন সম্পাদক পদে জিয়াউদ্দিন বাবলু ১৪১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি মোঃ ফারুক পেয়েছেন ৬৪ ভোট।
কাউখালী স্থায়ী ব্যবসায়ী কল্যান পরিষদের নির্বাচনকে ঘিরে শনিবার কাউখালী উপজেলা সদর এলাকা বেশ উৎসব মূখর ছিল। এ যেন ঈদের আনন্দ। যে কোন ধরনের সহিংসতা এড়াতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। ইসহাক সওদাগরকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করে ঘঠিত এ কমিশনে অন্যান্য সদস্যরা হলেন আব্দুর রউপ সওদাগর, স্বপন রায়, আবুল কালাম আজাদ ও আলী আহম্মেদ। এছাড়া গতকাল নির্বাচনের দিন মোঃ মোস্তফা কামাল মহিম ও জাহাঙ্গীর হোসেন ও দায়িত্ব পালন করেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.