পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ী সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী সামাজিক উৎসব বিজু-সাংগ্রাইং-বৈসক-বিষু-বিহু-সাংক্রান উপলক্ষে রোববার রাঙামাটিতে বর্ণাঢ্য র্যালী বের করা হয়। র্যালীতে পাহাড়ী নারী-পুরুষ ঐতিহ্যবাহী পোশাকে শোভাযাত্রায় অংশ নেন।
রাঙামাটি পৌর সভা প্রাঙ্গনে র্যালীর উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে উদ্বোধক ছিলেন চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায়। বিজু-সাংগ্রাইং-বৈসক-বিষু-বিহু-সাংক্রান উদযাপন কমিটির সভাপতি প্রকৃতি রঞ্জন চাকমার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙামাটি সংসদীয় আসনের নির্বাচিত সাংসদ উষাতন তালুকদার। বক্তব্যে দেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শিক্ষাবিদ ড. মানিক লাল দেওয়ান, এমএন লারমা মেমোরিয়েল ফাউন্ডেশনের সভাপতি বিজয় কেতন চাকমা। পরে চাকমা রাজাদেবাশীষ রায় বেলুন উড়িয়ে র্যালীর উদ্ধোধন করেন। এর পর আদিবাসী শিল্পীরা মনোজ্ঞ নৃত্য পরিবেশন করেন।
আলোচনা সভা শেষে রাঙামাটি পৌর সভা প্রঙ্গন থেকে জেলা শিল্পকলা একাডেমী চত্বর পর্ষন্ত একটি বর্নাঢ্য র্যালী বের করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উষাতন তালুকদার এমপি বলেন, পার্বত্য চুক্তির অনেক বিষয় বাস্তবায়ন করা হলেও চুক্তির মৌলিক বিষয়ের মধ্যে সাধারন প্রশাসন, স্থানীয় পুলিশ আইন-শৃংখলা বিষয়ে এখনো হস্তান্তর করা হয়নি। যতক্ষন না পর্ষন্ত এ বিষয়গুলো হস্তান্তর করা হবে না ততক্ষন পর্ষন্ত আদিবাসী মানুষ বিজু-সাংগ্রাই-বৈসুক-বিহ-সাংক্রান ভালভাবে ও নিরাপদে উদযাপন করতে পারবে না। তাই সরকার খুব দ্রুত চুক্তির গুরুত্বপূর্ন মৌলিক বিষয়গুলো বাস্তবায়নে উদ্যোগ গ্রহন করবে। তিনি এ উৎসবের মধ্য দিয়ে পুরাতন বছরের সমস্ত গ্লানিকে ভূলে গিয়ে নতুন বছরের নতুন উদ্যোমে এবং সম্পদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে দেশকে আরো উন্নয়নের এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য,আগামী ১২ এপ্রিল থেকে তিন দিন ব্যাপী পার্বত্য চট্টগ্রামের বসবাসতরত ১৪টি আদিবাসী সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী প্রধান সামাজিক উৎসব বিজু-সাংগ্রাই বৈসুক-বিষু-সাংক্রান উৎসব শুরু হচ্ছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.