বাবা-মার অনুপস্থিতিতে স্বামী পরিত্যাক্ত এক মানসিক প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গেল শনিবার উপজেলার লামা সদর ইউনিয়নের বৈক্ষমঝিরি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। তবে ঘটনার পর রাতে ধর্ষকদে বাচাঁতে গ্রামের মোড়লরা বিষয়টি সামাজিকভাবে মিমাংসার চেষ্টা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভিকটিমের বাবা।
মানসিক প্রতিবন্ধী বিধবা নারীর অভিভাবকরা জানান, শনিবার পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী লামায় একটি জনসভা ছিল। এ জনসভায় অংশ নিতে যাওয়ার কারণে রুপসীপাড়া বাজারের বাড়িতে মেয়েটি একা ছিল। এ সুযোগে পার্শ্ববর্তী আবচার মোল্লার ছেলে মোঃ হারুণ(২৭) তাকে জোর করে ধর্ষণ করে। বিকেলে তারা বাড়িতে ফিরেদেখতে পায় মেয়েটি পাগলামি করছে। কারণ জানতে চাইলে সে বিস্তারিত ঘটনাটি মাবাকে বলে। এতে সাথে সাথে বিষয়টি ইউপি মেম্বার আব্দু রহমান মনুকে ঘটনাটি জানানো হয়। রাতেই এলাকার সমাজের গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের উপস্থিতিতে মেম্বারের বাড়িতে সামাজিক মিমাংসা ডাকা হয়। সমাজের মোড়লরা ধর্ষিতার ইজ্জতের মূল্য বিশ হাজার টাকা নির্ধারণ করেন।
৫নং ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার আব্দু রহমান মনু বলেন, মেয়েটি মানসিক প্রতিবন্ধী। তার দুই সন্তান রয়েছে। স্থানীয় বিচারে ধর্ষক ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।
গ্রাম সর্দ্দার বশির কারবারী বলেন, তিনি ঘটনাটি শুনে মেম্বারকে বিষয়টি আইনী প্রক্রিয়া শেষ করতে পরামর্শ দেন।
লামা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিন্টু কুমার সেন বলেন, তিনি শনিবার রাতে বিষয়টি শুনেছেন। ভিকটিমের মা-বাবাকে তার কাছে আসতে বলেছেন। তারা এখনো আসেননি।
লামা থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন বলেন, ধর্ষণের বিষয়টি তিনি জানেন না। এখনো পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করতে থানায় আসেননি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.