খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলা প্রত্যন্ত দূর্গম তৈ-মাতাই গ্রামে গণ-মনসতাত্ত্বিক রোগে আক্রান্ত হয়ে অন্তত ৪১ নারী-পুরুষ অসুস্থ হয়েছেন। এদের মধ্যে ১৫ জনকে গেল সোমবার রাতে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া মঙ্গলবার সকালে আরো ১৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ।
জানা যায়, গুইমারা উপজেলা প্রত্যন্ত দূর্গম তৈ-মাতাই গ্রামে গণ-মনসতাত্ত্বিক রোগে আক্রান্ত হয়। এতে ৪১ নারী-পুরুষ অসুস্থ হয়েছেন। তার মধ্যে ১৫ জনকে গেল সোমবার রাতে ও মঙ্গলবার সকালে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীরা হচ্ছেন, কৃঞ্চ বালা ত্রিপুরা(২২), কবিতা ত্রিপুরা(৩০), বহি বালা ত্রিপুরা(১৭), দীকা ত্রিপুরা(১৬), মায়া বালা ত্রিপুরা(২৬), খাজ বালা ত্রিপুরা(১৮), বানু বিথি ত্রিপুরা(৩০), দিনু ত্রিপুরা(২১), কলইমা ত্রিপুরা(১৭), সাগরিকা ত্রিপুরা(১০), টিপায়ন ত্রিপুরা(১১), মহন ত্রিপুরা(১৬), সনদি রাম ত্রিপুরা(৩৫), কলোইসা ত্রিপুরা(১৬) ও বহেন ত্রিপুরা(১৫)। খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গণ-মনসতাত্ত্বিক রোগে আক্রান্ত রোগীদের মাতলামী করছে। তবে হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সরা চিকিৎসা সেবাসহ শান্ত করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
হাসপাতালে আসা এ গ্রামের লোকজনের বিশ্বাস কোন বদ্য গ্রামে বান দিয়েছে সে কারনে গ্রামের লোকেরা পাগলের আচরণ করছে।
এলাকাবাসী দয়া কুমার ত্রিপুরা জানান, সোমবার সকাল থেকে ঐ গ্রামের মানুষ গুলো হঠাৎ করে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে কান্না-কাটি লোক দেখলে পালিয়ে যায় ও পাগলামি শুরু করে এবং একে অপরের ঘর ভাংচুর করে এক পর্যায়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে।
বাংলাদেশ ত্রিপুরা স্টুডেন্ট ফোরামের সদস্যরা আক্রান্তদের হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে। বিকাল পর্যন্ত অন্তত ৪১ জন নারী পুরুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়।
খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার নয়ন ময় ত্রিপুরা জানান, সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। মঙ্গলবার আজ সকালে আরো ১৫ জনকে ভর্তি করে চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে।
তিনি আরো জানান,এটি একটি গণ মনষতাত্ত্বিক রোগ। হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে কয়েক দিনের মধ্যে সুস্থ্য হয়ে উঠবে। এ নিয়ে আতংকিত হওয়ার কিছু নেই।আক্রান্ত এলাকায় মেডিকেল টিম কাজ করছে বলেও আবাসিক চিকিৎসক জানান।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.