রাঙামাটির সাজেকে খাদ্য সংকট এখন কমে এসেছে-জেলা প্রশাসক

Published: 05 May 2017   Friday   

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার দূর্গম সাজেক ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে সৃষ্ঠ খাদ্য সংকট মোকাবেলায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়ার ফলে এই সংকট এখন কমে এসেছে।

 

শুক্রবার  জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান সাজেকের খাদ্য সংকট পরিস্থিতির মোকাবেলায় সার্বিক অগ্রগতির বিষয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করার সময় এই তথ্য জানান।

 

সাংবাদিকদের জেলা প্রশাসক মো. মানজারুল মান্নান  আরো জানান, সাজেকের মানুষ নির্ভরশীল কেবল জুমচাষে উৎপাদিত ফসলের ওপর। বছরে জুমচাষ করে যা উৎপাদন করতে পারে তা দিয়ে তাদের জীবনজীবিকা।  আমরা যতদূর জানতে পেরেছি, গত বছর প্রকৃতির বিরূপ আবহাওয়ার কারণে সেখানকার লোকজনের জুমচাষ ব্যাহত হয়। এতে ফসল উৎপাদন তেমন হয়নি। ফলে এ মৌসুমে খাদ্য সংকটে পড়তে হয়েছে তাদেরকে।

 

তিনি বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সংকটের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে মানবিক বিবেচনায় দেখছে সরকার। সংকট মোকাবেলায় জরুরিভাবে পর্যাপ্ত খাদ্য ও অর্থ সহায়তার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এটিকে খুব গুরুত্ব দিচ্ছে। এর মধ্যে মন্ত্রণালয় থেকে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মাধ্যমে ১০ মেট্রিক চাল বিতরণ করা হয়েছে। আরও ১০ মেট্রিক টন বরাদ্দ দিয়েছে পার্বত্য মন্ত্রণালয়। এছাড়া দুর্দশাগ্রস্তদের সহায়তার জন্য জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে নগদ ১০ লাখ টাকা পাঠানো হয়েছে পার্বত্য মন্ত্রণালয় থেকে। জেলা প্রশাসনের জিআর কর্মসূচি হতে ২০ মেট্রিক টন চাল দেয়া হয়েছে। সেনাবাহিনী পক্ষ হতেও বিভিন্ন সহায়তা দেয়া হচ্ছে। তা ছাড়া পরবর্তী চার মাসের জন্য পরিবার প্রতি মাসে ২০ কেজি করে চাল বিতরণে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে।

 

এদিকে, গত বৃহস্পতিবার খাদ্যপীড়িত সাজেকের রুইলুই পাড়ায় খাদ্য সহায়তা বিতরণ করেছে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ। বিতরণকালে পরিষদের সদস্য স্মৃতি বিকাশ ত্রিপুরা, সবির কুমার চাকমা, অমিত চাকমা রাজু, রেমলিয়ানা পাংখোয়া, বাঘাইছড়ি উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান দীপ্তিমান চাকমা, সুমিতা চাকমাসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।

 

উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার দুর্গম সাজেক ইউনিয়নের ৪০ থেকে ৪৫টি গ্রামে  খাদ্য সংকট সৃষ্টি হয়।  গেল বছর জুম ধানের উৎপাদন কম হওয়ায়, জুমের ভূমির পরিমাণ কমে আসায় ও সর্বোপরি বাঁশ,কাঠ,বেতসহ বনজ সম্পদের উৎস হ্রাস পাওয়ায় এ ইউয়িনে প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ গ্রামের প্রায় আড়াই হাজার মানুষের মাঝের খাদ্য সংকট দেখা দেয়। স্থানীয়দেও মতে,সাজেকে বিশেষ করে বেটলিং, শিয়ালদাই ও নিউলংকর পাড়ায় খাদ্য সংকট প্রকট আকার ধারণ করে। এছাড়াও ইউনিয়নের আরও অনেক গ্রামের মানুষ এ খাদ্য সংকটে পড়েছেন।

--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত