সাজেকে খাদ্যসংকট মোকাবেলায় পাহাড়ি ছাত্র ও জন ঐক্য কল্যাণ সমিতির চাল বিতরণ

Published: 11 May 2017   Thursday   

খাদ্য সংকট মোকাবিলায় রাঙামাটির দুর্গম সাজেকে পানছড়ি উপজেলাবাসী পক্ষ থেকে ১শ পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করেছে পানছড়ি উপজেলার পাহাড়ি ছাত্র ও জন ঐক্য কল্যাণ সমিতি নামের একটি অরাজনৈতিক সংগঠন।


পানছড়ি উপজেলার লোগাং বাজার আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক রুপায়ন চাকমার নেতৃত্বে গেল বুধবার সাজেক ইউনিয়নের ৪,৫,৬ ও ৯ নং ওয়ার্ডে এ চাল বিতরণ করা হয়। এ সময় সাজেক ইউনিয়নের ৪,৬ ও ৭ নং ওয়ার্ডের মহিলা সদস্যা সুশীলা চাকমা, ৭,৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য ধনটিলা ত্রিপুরা উপস্থিত ছিলেন।

 


১০কেজি চাল পেয়ে ৫নং ওয়ার্ডের শান্তি পাড়া গ্রামের কালিগর চাকমা, ৫নং ওয়ার্ডের নান্টু মুনি চাকমা, বাঙাল্যে চাকমা, মন কিরণ ত্রিপুরা ও মাজলং বাজারের আব্দুল খালেক জানান, প্রতিদিন এক বেলা পেট ভরে ভাত খেয়ে থাকতে হচ্ছে। অনেক সময় তাও জোটে না। আপনাদের দেওয়া চাল দিয়ে আমাদের ৩/৪দিন ভাত খেয়ে থাকতে পারবো।

 

তারা আরো জানান,এ এলাকায় অধিকাংশ পরিবার খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করছে। এখানকার মাটিগুলো উর্বরতা কমে গেছে। শুধু কলাগাছ চাষ ছাড়া কোন ফলন হচ্ছে না। সেজন্য আমাদের আজ এ অবস্থা।


‘পাহাড়ি ছাত্র ও জন ঐক্য কল্যাণ সমিতি’র সভাপতি দীপন চাকমা ও সাধারণ সম্পাদক রনেল চাকমা, সদস্য দর্শন চাকমা, হিতোষী চাকমা ও অমর বিকাশ চাকমা বলেন.বিতরণকৃত খাদ্যশস্যগুলো গেল ২ সপ্তাহ ধরে পানছড়ি উপজেলা বিভিন্ন প্রত্যস্ত অঞ্চলের দুর্গম গ্রাম থেকে ঘরে ঘরে গিয়ে সংগ্রহ করেছি। সেগুলো সাজেকবাসীর কাছে বিতরণ করতে পেরে আমরা নিজেকে ধন্য মনে করছি। তাঁরা খাদ্য পিড়ীত দুর্গম সাজেকবাসী জন্য চালসহ বিভিন্ন খাদ্যশষ্য বিতরণ করার জন্য বিভিন্ন এলাকার সচেতন এলাকাবাসী ও বিভিন্ন সংগঠন, সংস্থার কাছে অনুরোধ জানান।


সাজেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নেলশন চাকমার বিরুদ্ধে চাল বিতরণে বাধা প্রদানের অভিযোগ করেন ‘পাহাড়ি ছাত্র ও জন ঐক্য কল্যাণ সমিতি’র সভাপতি দীপন চাকমা ও সাধারণ সম্পাদক রনেল চাকমা বলেন,চেয়ারম্যান নেলসন চাকমা আমাদেরকে ধমক দিয়ে বলেছেন চাল বা খাদ্য শষ্য বিতরণ করবেন আমার কাছ থেকে অগ্রিম অনুমতি নেননি কেন? আপনারা বিতরণ করতে পারবেন না। আমার ইউনিয়নরে মানুষ না খেয়ে থাকবে তাতে আপনাদের কী ? চলে যান। বিতরণ করতে পারবেন না। এবাবে খারাপ ব্যবহার করেন চেয়ারম্যান। আগামীতে নাকি অগ্রিম অনুমোদন না নিলে চাল বা খাদ্যশস্যগুলো তারা বাসায় রেখে আসতে হবে। পরে তিনি বিতরণ করবেন। অগ্রিম অনুমোদ না নেওয়ার কারণে তিনি আমাদেরকে বাঘাইহাটতে দু`ঘন্টা বসিয়ে রাখেন। অনেক অনুরোধের পরও আমরা অনুমোদন পায়। 
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত