রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার রাইখালীতে জনসংহতি সমিতির নেতার বাড়ীতে বিজিবি সদস্যদের তল্লাসী এবং তার স্ত্রীকে হাতকড়া পরিয়ে বেঁধে রাখা ও মেয়েকে চড়-থাপ্পড় মারার অভিযোগ করে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি।
গতকাল বৃহস্পতিবার জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রচার বিভাগের সহ-তথ্য সম্পাদক সজীব চাকমার স্বাক্ষরিত এক প্রেস বার্তায় অভিযোগ করা হয়, গতকাল ভোর রাতে কাপ্তাইয়ের বিজিবি`র একদল সদস্য জনসংহতি সমিতির রাইখালী ইউনিয়ন শাখার সভাপতি আরেইসে মারমার (৫৫) বাড়ীতে তল্লাসী চালায়। এ সময় বিজিবি’র সদস্যরা আরেইসে মারমার স্ত্রী মাথুইচিং মারমাকে হাতকড়া পরিয়ে বেঁধে রাখে এবং তাঁর মেয়ে উনুসিং মারমাকে চড়-থাপ্পড় মারে বলে প্রেস বার্তায় দাবী করা হয়েছে।
প্রেস বার্তায় দাবী করা হয়, এ সময় বিজিবি`র সদস্যরা আরেইসে মারমাকে খুঁজলেও তাকে বাড়ীতে পায়নি। পরে ব্যাগে নেয়া ঢুকানো বিস্ফোরক দ্রব্য আরেইসে মারমার বাড়ীতে লুকিয়ে রাখার সময় আরেইসে মারমা মেয়ে উনুসিং মারমা দেখতে পান। এসময় তিনি সাথে সাথে চ্যালেঞ্জ করলে বিস্ফোরক দ্রব্য পুঁতে রাখতে ব্যর্থ হলে উনুসিং মারমাকে চড়-থাপ্পড় মারা হয়। তল্লাসীর একপর্যায়ে আইন-শৃংখলা বাহিনী’র সদস্যরা আরেইসে মারমার স্ত্রী মাথুইচিং মারমাকে হাতকড়া পরিয়ে বেঁধে রাখে। আরেইসে মারমার ছেলে ও পুত্রবধুর রুমে ঢুকে তল্লাসী চালায়। বাড়ীর কাপড়-চোপড় ও বাড়ীর জিনিষপত্র তছনছ ও মোবাইল কেড়ে নেয়া হয়। পরে বিজিবি`র সদস্যরা কিছুই করেনি বলে উনুসিং মারমা থেকে সাদা কাগজে দস্তখত নিয়ে চলে যায়।
প্রেস বার্তায় অবৈধভাবে তল্লাসী, ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বিস্ফোরক দ্রব্য পুঁতে রাখার অপচেষ্টা, মারধর ও হয়রানি ঘটনায় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে এধরনের ষড়যন্ত্রমূলক ও অবৈধ তল্লাসী বন্ধের দাবি জানানো হয়েছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.