লংগদুতে হামলা ও বাড়িঘর অগ্নিসংযোগের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ পাহাড়ের ৮ গণসংগঠনের

Published: 02 Jun 2017   Friday   

লংগদুতে বর্বরোচিত হামলায় এক বৃদ্ধাকে খুন, ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও সহায়সম্পদ লুটপাটের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েঝে ইউপিডিএফ সমর্থিত ৮ গণসংগঠন। সংগঠনগুলির নেতারা এই ঘটনার জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তাকে ঘটনার ভয়াবহতার জন্য দায়ী করেছেন।

 

বৃহৃস্পতিবার পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের সভাপতি সোনালী চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি অংগ্য মারমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশন এর সভাপতি নিরূপা চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি বিনয়ন চাকমা, সাজেক নারী সমাজের সভাপতি নিরুপা চাকমা, ঘিলাছড়ি নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি কাজলী ত্রিপুরা ও প্রতিরোধ সাংস্কৃতিক স্কোয়ার্ড এর সভাপতি  জ্ঞান কীর্তি চাকমা, সাজেক ভূমি রক্ষা কমিটির সভাপতি নতুন জয় চাকমা (কার্বারী) এক যুক্ত বিবৃতিতে  এ অভিযোগ করেছেন।

  

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করে বলেন, শুক্রবার সকালে লংগদু উপজেলা সদরে আওয়ামী যুবলীগের নেতৃত্ব্ েআয়োজিত উক্ত সমাবেশে স্থানীয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্তারা ছাড়াও উপজেলা চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন, রাঙামাটি জেলা পরিষদের সদস্য ও লংগুদু আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জানে আলম, এড. আবছার আলী, বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের রাঙাামাটি জেলার সভাপতি আলমগীর হোসেন বক্তব্য রাখেন।

 

সমাবেশ থেকে পাহাড়িদের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক হামলার জন্য উস্কানীমূলক বক্তব্য দেওয়া হয়। এবং তার কিছুক্ষণের মধ্যেই পাহাড়ি অধ্যুষিত গ্রামের বাড়িঘর,দোকানপাটে নির্বিচারে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করা হয়।  নেতৃৃবৃন্দ মনে করেন প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা না থাকলে এই ধরনের সাম্প্রদায়িক হমালা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটতো না। এছাড়া নেতৃবৃন্দ আরো অভিযোগ করে বলেন পাহাড়ি জনগণের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের পর ১৪৪ ধারা জারি করার পরেও পাহাড়িদের গ্রামে হামলা চালানো হয়। অগ্নিসংযোগের আগে বেশ কয়েকটি গ্রামে পাহাড়ি জনগণ প্রতিরোধ করতে চাইলে পুলিশ পাহাড়ি জনগণকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাড়িয়ে দেয়। এই সুযোগে বাঙালিরা পাহাড়ি জনগণের বাড়িঘরে আগুন লাগিয়ে দেয় এবং লুটপাট করে।

 

এদেশে জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সব সময় হামলার আতঙ্কে বসবাস করতে হয় অভিযোগ করে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, এই উগ্র জাতীয়তাবাদী ও উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী প্রশাসনের সহযোগিতায় কখনো সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর, গোবিন্দগঞ্জে সান্তালদের উপর আবার কখনো পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমি বেদখলের জন্য পাহাড়ি জনগণের ওপর সাম্প্রদায়িক হামলা পরিচালনা করে অসছে। সরকার দলীয় লোকেরা সেনা-পুলিশের সহযোগিতায় এই সব হামলা পরিচালনা করে থাকে।

 

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে লংগুদু উপজেলায় নিরীহ পাহাড়ি জনগনের ওপর  হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার সাথে জড়িত আওয়ামীলীগ, উগ্রসাম্প্রদায়িক সেটলার বাঙ্গালী ও  উস্কানীদাতা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক শান্তি এবং লংগুদুতে অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত পাহাড়ি জনগণের যথাযথ ক্ষতিপূরণ ব্যবস্থাসহ তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান।

 

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, গেল ১ জুন খাগড়াছড়ি-দিঘীনালা সড়কের ৪ মাইল নামক এলাকায় লংগদু উপজেলা নিবাসী মটরসাইকেল চালক নুরুল ইসলাম (নয়ন)এর লাশ পাওয়া ঘটনাকে পুঁজি করে ২ জুন সকালে লংগদু উপজেলায় আওয়ামীযুবলীগের স্থানীয় উপজেলা শাখার নেতৃত্বে ’লংগদু এলাকাবাসী’র ব্যানারে আয়োজিত মিছিল থেকে উক্ত হামলা চালানো হয়।

--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত