পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা বলেছেন, দীর্ঘ ১৯ বছরেও পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়িত হয়নি। আর পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়িত হবে বলে বিশ্বাস করি না। যদি না শাসকগোষ্ঠীর উপর রাজনৈতিক তথা সামগ্রিকভাবে প্রয়োজনীয় চাপ প্রয়োগ করা না হয়।
রোববার রাঙামাটিতে দুদিন ব্যাপী পার্বত্য চট্টগ্রাম হেডম্যান-কারবারী সন্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সন্তু লারমা এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে উদ্ধোধকের বক্তব্যে চাকমা সার্কেল দেবাশীষ রায় অভিযোগ করে বলেছেন,রাঙামাটির লংগদুতে পাহাড়ীদের গ্রামে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সেখানকার আইন-শৃংখলা বাহিনী নিরপেক্ষ ছিল না। আইন-শৃংখলা বাহিনী যদি নিরপেক্ষ হতো তাহলে পাহাড়ীরা এত বড় ক্ষয়ক্ষতির শিকার হত না। এ ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের যথাযথ শাস্তিরও দাবি জানান তিনি।
সিএইচটি হেডম্যান নেটওয়ার্ক ও নারী হেডম্যান-কারবারী নেটওয়ার্কের উদ্যোগে রাঙামাটি সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত উদ্ধোধনী অধিবেশন অনুষ্ঠানে সভা প্রধান ছিলেন সিএইচটি হেডম্যান নেটওয়ার্ক-এর সহ-সভাপতি শক্তিপদ ত্রিপুরা। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বরকল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মনি চাকমা, ইউএনডিপি-সিএইডিএফের কর্মকর্তা ঝুমা দেওয়ান। স্বাগত বক্তব্যে রাখেন সিএইচটি হেডম্যান নেটওয়ার্ক-এর সাধারন সম্পাদক শান্তি বিজয় চাকমা।
এর আগে মঙ্গল প্রদীপ জ্বালিয়ে দুদিন ব্যাপী হেডম্যান সন্মেলন উদ্ধোধন করেন চাকমা সার্কেল চীফ রাজা দেবাশীষ রায়। এ অনুষ্ঠানে তিন পার্বত্য জেলা থেকে দুই শতের অধিক পুরুষ ও নারী হেডম্যান(মৌজা ও গ্রাম প্রধান) অংশ নেন।
বিকালে দ্ধিতীয় অধিবেশনে প্রধান অথিথি ছিলেন রাঙামাটির সাংসদ উষাতন তালুকদার ও বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সন্তু লারমা আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের বাস্তবতা হচ্ছে জুম্ম জনগণকে নিশ্চিহৃকরণ করা। এতে শাসকগোষ্ঠী সমাজের গুনেধরা সামন্ততান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়ে এই কাজটি করতে চাইছে। তিনি হেডম্যান ও নারী কারবারীদের সমাজ ব্যবস্থায় চিন্তাধারায় প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক অধিকারী এবং রক্ষণশীল থেকে বেরিয়ে এসে সংগ্রামী ও প্রতিবাদী হয়ে তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব প্রতিপালনের আহ্বান জানান।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.