রাঙামাটিতে পাহাড় ধসের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থদের পূর্নবাসনের ভাবনা করছে সরকার

Published: 22 Jun 2017   Thursday   
no

no

রাঙামাটিতে ভারী বর্ষনে পাহাড় ধসের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থদের পূর্নবাসনের জন্য চিন্তাভাবনা করছে সরকার। তবে বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হয়নি। এ জন্য আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে আশ্রিত ক্ষতিদের সার্র্বিক সাহায্য করার জন্য সরকারীভাবে সার্বিক সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে।

 

এদিকে, পাহাড় ধসে নিখোজ থাকা দুজনকে মৃত হিসেবে ঘোষনা করেছে জেলা প্রশাসন। এ নিয়ে রাঙামাটিতে পাহাড় ধসের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ১২০-এ তে দাড়ালো।


উল্লেখ্য,গেল ১৩ জুন ভারী বর্ষনে রাঙামাটি শহরের ভেদভেদীর যুব উন্নয়ন বোর্ড এলাকা,মুসলিম পাড়া.শিমুলতলী এলাকা,সাপছড়ি,মগবান,বালুখালী এলাকায় এবং জুরাছড়ি,কাপ্তাই,কাউখালী ও বিলাইছড়ি এলাকায় ৫ সেনা সদস্যসহ ১২০ জনের মৃত্যূ হয়। এতে জেলায় ১৬শ থেকে ১৭ শ ঘরবাড়ি সম্পূর্ন ও আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। পাহাড় ধসের কারণে চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়কের সাপছড়ি শালবাগান এলাকায় দেড়শ ফুট এলাকা জুড়ে সড়ক ঘটনার ৮ দিনের মাথায় গেল বুধবার সড়কে হালকা যানবাহনের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে।


জানা যায়, রাঙামাটি শহরের ১৯টি আশ্রয় কেন্দ্রে ৭৪৪ পরিবারের তিন হাজার দ্ইুশ লোকজন আশ্রয় গ্রহন করেছেন। এর মধ্যে পুরুষ ১ হাজার ৫৬ জন, মহিলা ৯শ ২৪ জন এবং শিশু ১হাজার ২২ জন। রাঙামাটিতে পাহাড় ধসের ঘটনায় নিখোজ থাকা ভেদেভেদীর পশ্চিম মুসলিম পাড়া এলাকায় রুবি আক্তার(৩৬) ও মোঃ শাহাজান(৯) পৌর সভা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে নিশ্চিত হওয়ার পর তাদের মৃত হিসেবে তালিকায় যুক্ত করেছে। ইতোমধ্যে এ দুজনের ক্ষতিপূরনের অর্থ তাদের পরিবারের কাছে দেয়া হয়েছে। রাঙামাটি শহরে ১৯টি আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রিতদের সেনাবাহিনী,পুলিশ,বিজিবি ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি খাবার বিতরণ করছে। তাছাড়া বেসরকারীভাবেও ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।


এদিকে, বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থপনা কমিটির এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান। এতে অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান, রাঙামাটি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অরুন কান্তি চাকমাসহ সামরিক-বেসামরিক উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা। 

 

সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ আশ্রিতদের পূর্নবাসন না হওয়া পর্ষন্ত এাণ সহায়তা অব্যাহত থাকবে। পাহাড় ধসে বিভিন্ন স্থানে ক্ষতিগ্রস্থদের পূর্নবাসনের জন্য সরকারের চিন্তাভাবনা চলছে। তবে কোন স্থানে তাদের পূর্নবাসন করবে তা এখনো ঠিক হয়নি। তবে আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রিতরা যতদিন থাকবে ততদিন পর্ষন্ত তাদের সার্বিক ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত থাকবে।


তিনি আরো বলেন, বর্তমানে জেলার ত্রাণ তহবিলে এক কোটি টাকা,৫০ মেঃটন চাউল ও পর্যাপ্ত পরিমানের পানি বিশুদ্ধকরণ টেবলেট রয়েছে। বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে সেনাবাহিনী,বিজিবি,পুলিশ ও রেড ক্রিসেন্ট খাবার বিতরণ অব্যাহত রেখেছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

 

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত