রাঙামাটিতে পাহাড় ধসের ঘটনায় আশ্রিতরা অন্যরকম ঈদ পালন করলেন

Published: 26 Jun 2017   Monday   

পাহাড় ধসের ঘটনায় রাঙামাটি শহরের বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে থাকা আশ্রিত লোকজনদের সাথে  সোমবার ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করেছেন প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা। আশ্রিতরা যেন এক অন্যরকম ঈদ উদযাপন করলেন।

 

দুপুরের দিকে রাঙামাটি সরকারী কলেজের আশ্রয় কেন্দ্রে থাকা আশ্রিতদের সাথে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান, পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান, রাঙামাটি পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরীসহ প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা রাঙামাটি সরকারী কলেজ থাকা আশ্রিত লোকজনদের সাথে খাওয়া-দাওয়া পর্বে অংশ গ্রহন করেন। এতে খাবার হিসেবে মাংস,পোলাও, ফলমূল নানান খাবার পরিবেশন করা হয় অাশ্রিকদের মাঝে।  এ ছাড়া তারা আশ্রিতদের সাথে ঈদের আনন্দও ভাগাভাগি করেন।

 

এর আগে  গেল রোববার আশ্রয় শিবিরে থাকা আশ্রিতদের ঈদের নতুন জামাকাপড় বিতরণ করা হয়।  তাছাড়া অন্যান্য আশ্রয় কেন্দ্রে সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তারা আশ্রিতদের সাথে এক সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করেন।

 

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান বলেন, অন্তত: পক্ষে একটা দিন সকল কষ্ট ভুলে থাকতে পারি সে জন্য এ ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ জন্য উন্নত খাবার ও পোশাক তাদের দেয়া হয়েছে। তাদের সাথে এক সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করেছি। তিনি আরো জানান, দুর্গত মানুষদের পূর্নবাসনের জন্য সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের পূর্নবাসন জন্য যা যা করা দরকার তাই করবে সরকার।

 

এদিকে, সোমবার সকালে রাঙামাটির তবলছড়িস্থ কেন্দ্রীয় ঈদগাঁ ময়দানে ঈমামের খুতবার পর জেলা প্রশাসক রাঙামাটিবাসিকে ঝুঁকিপূর্ণস্থানে বসত নির্মাণ না করার অনুরোধ  করেছেন।

 

তিনি বলেন, গেল ১৩ জুন রাঙামাটিতে পাহাড় ধসের ঘটনায় ১২০ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।  প্রকৃতির প্রতিশোধ বা যে কোন নামেই অভিহিত করি না কেন তার বাস্তবতা  হচ্ছে তার জন্য দায়ি আমরা সবাই। কারণ অপরিকল্পিতভাবে বসতবাড়ী নির্মাণে ও পাহাড় কেটে ঝুঁকিতে বসবাসের প্রবণতার জন্য এই প্রাণহানী ঘটনা ঘটেছে। 

অন্যদিকে,বাংলাদেশ টেলিভিশন উপ কেন্দ্রে আশ্রিত লোকজনদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করেন সেনাবাহিনীর চট্টগ্রাম ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল জাহাঙ্গীর কবির তালুকদার। পরে তিনি রাঙ্গাপানিস্থ ভাবনা কেন্দ্রে আশ্রিত স্থানে যান। এসময় রাঙামাটি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম ফারুখসহ উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 

উল্লেখ্য,গেল ১৩ জুন ভারী বর্ষনে পাহাড় ধসে রাঙামাটি শহরের ভেদভেদীর যুব উন্নয়ন বোর্ড এলাকা,মুসলিম পাড়া.শিমুলতলী এলাকা,সাপছড়ি,মগবান,বালুখালী এলাকায় এবং  জুরাছড়ি,কাপ্তাই,কাউখালী ও বিলাইছড়ি এলাকায় ৫ সেনা সদস্যসহ ১২০ জনের মৃত্যূ হয়। রাঙামাটি শহরের ১৯টি আশ্রয় কেন্দ্রে ৩হাজার ২শ জন নারী-শিশু ও পুরুষ আশ্রয় গ্রহন করেছেন।

--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত