সরকারী স্থাপনা ও বিদ্যালয় ভবনে আশ্রিতদের অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত

Published: 29 Jun 2017   Thursday   

পাহাড় ধসের ঘটনায় রাঙামাটি শহরের আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া কিছু কিছু পরিবার নিজ নিজ জায়গায় ফিরতে শুরু করেছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে প্রশাসন বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার রাঙামাটি ও যে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় শিবির প্রতিষ্ঠা করেছিল সেগুলোর পরিবর্তে অন্যান্য স্থানে আশ্রিতদের সরিয়ে নেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। 

 

জানা যায়, পাহাড় ধসের ঘটনার পর রাঙামাটি শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সরকারী ভবনের ১৯টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা। হয়। এসব কেন্দ্রে মোট ৩ হাজার ২শলোকজন আশ্রয় নেন। এসব কেন্দ্রে আশ্রিতদের সকালের নাস্তা ও দুবেলা খাবারসহ ত্রাণ সমাগ্রি সরকারী ও বেসরকারীভাবে বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।


বৃহস্পতিবার রাঙামাটি সরকারী কলেজ ও বিএডিসি ভবন আশ্রয় কেন্দ্রে ঘুরে জানা গেছে কিছু কিছু আশ্রিত পরিবার নিজ নিজ বাড়েিত ফিরে গেছেন। এর মধ্যে রাঙামাটি সরকারী কলেজ আশ্রয় কেন্দ্রে থাকা ৮১ পরিবারের মধ্যে ৩৬ পরিবার এবং বিএনডিসি ভবনে আশ্রিত ৭২ পরিবারের মধ্যে ৪পরিবার তাদের নিজ নিজ বসত ভিটায় ফিরেছেন।


রাঙামাটি সরকারী কলেজে আশ্রয় কেন্দ্রের টিম লিডার মোঃ ছগির হোসেন সত্যতা স্বীকার করে জানান, ক্ষতিগ্রস্থদের মধ্যে যারা ফিরে গেছেন তারা তাদের ভগ্ন বাড়ি ঘরে ফেলা আসা জিনিসপত্রের পাশাপাশি হাঁস মুরগির তত্বাবধানের জন্য ফিরে গেছে। বিএনডিসি ভবনে আশ্রিত টিম লিডার শেখ শুক্কর জানান, তার আশ্রয় কেন্দ্র ৪ পরিবার বসত ভিটায় চলে গেছেন।


এদিকে, জেলা প্রশাসন কার্যালয় চত্বরে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নানের সভাপতিত্বে জেলা ত্রাণ ও পূর্নবাসন বিষয়ক এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জেলা সিভিল সার্জন ডা. শহীদ তালুকদার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহীদুল্লাহ, রাঙামাটি পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরীসহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।


সভায় পাহাড় ধসের ঘটনার পর প্রশাসন বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার রাঙামাটি ও যে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় শিবির প্রতিষ্ঠা করেছিল সেগুলোর পরিবর্তে অন্যান্য স্থানে আশ্রিতদের সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। যেসব নতুন আশ্রয় কেন্দ্র করা হবে তার মধ্যে হল রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের নতুন নির্মিত ছাত্রাবাস, রাঙামাটি জিমনেসিয়াম ও রাঙামাটি মারী স্টেডিয়ামের ড্রেসিং রুম। এছাড়া পর্যায়ক্রমে আরো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমুহের আশ্রিতদের অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয় বলে সভা সূত্রে জানা গেছে।


সভায় জেলা প্রশাসক বলেন, দুর্যোগের কারণে ক্ষতিগ্রস্থদের যথাযথ আশ্রয় নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার রাঙামাটির মত কেপিআই(কি পয়েন্ট ইন্সটিটিউশন) আশ্রয় কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে এসমস্ত কেন্দ্রে সাধারন জনগণের চলাচল নিষিদ্ধ রয়েছে। তার সত্বেও মানবতার দিক দিয়ে বিচেনা করে দুর্গতদের আশ্রয় দেয়া হয়েছিল।

 

তিনি আরো বলেন, এ ক্ষেত্রে তিনটি পৃথক টিমের যাচাই-বাছাই শেষে যাদের আশ্রয় দেয়ার প্রয়োজন থাকবে তাদেরকে আশ্রয় দেয়া হবে।


তিনি বলেন,ক্ষতিগ্রস্থদের পুর্ণবাসনের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হচ্ছে। তবে এতে একটু সময় লাগবে।


উল্লেখ্য, গেল ১৩ জুন ভারী বর্ষনে পাহাড় ধসে রাঙামাটিতে ৫ সেনা সদস্যসহ ১২০ জনের মৃত্যূ হয়। রাঙামাটি শহরের ১৯টি আশ্রয় কেন্দ্রে ৩হাজার ২শ জন নারী-শিশু ও পুরুষ আশ্রয় নিয়েছেন। রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কে দীর্ঘ এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর হালকা যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

 

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত