রাঙামাটি পৌর মেয়র রাঙামাটি আকবর হোসেন চৌধুরী বলেছেন, গেল ১৩ জুন অতি বৃষ্টির কারণে পাহাড় ধসের ঘটনায় রাঙামাটি পৌরসভা এলাকায় সবচেয়ে বেশী প্রাণহানীর ঘটনা এবং রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল। ক্ষতিগ্রস্থ এ পৌরসভাকে নতুন করে ঢেলে সাজাতে টেক্সসই রাস্তাঘাট নির্মাণ,পরিবেশ সুরক্ষায় শহরের গুরুত্বপূর্ন সড়কে বনায়ন, বিশুদ্ধ পানীয় ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন বিষয়ে পরিকল্পনার উদ্যোগ নেয়া হবে। এ উদ্যোগের পরিকল্পনা সরকারের কাছে সুপারিশ আকারে পাঠানো হবে।
পাহাড় ধসের ঘটনায় বর্তমান পরিস্থিতিতে করনীয় সম্পর্কে বুধবার গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
পৌরসভা কার্যালয়ে মতবিনিময় সভায় অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড কমিশনার ও প্যানেল মেয়র জামাল উদ্দীন,৮নং ওয়ার্ড কমিশনার ও প্যানেল মেয়র কালায়ন চাকমা, পৌর কমিশনার মিজানুর রহমান বাবু,পুলক দে,বাচিং মারমা,রবিমোহন চাকমা, দৈনিক গিরিদর্পন সম্পাদক সাংবাদিক একেএম মকছুদ আহমেদ প্রমুখ। সভার শুরুতে পাহাড় ধসের ঘটনায় নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
পৌর মেয়র আরো বলেন, রাঙামাটি পৌরসভার অধিকাংশ রাস্তাঘাট পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত। এসব রাস্তাঘাট টেক্সসই না হওয়াতে অতি বৃষ্টিপাতের কারণে ভেঙ্গে গেছে। ভেঙ্গে যাওয়া এসব রাস্তাঘাট নির্মানের জন্য দেশী-বিদেশী বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে টেক্সসই রাস্তাঘাট নির্মাণ করা হবে।
পৌর মেয়র বলেন,পাহাড়ের ধসের ঘটনায় পৌর সভা পক্ষ থেকে দুটি টিম জেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় রেখে দুর্গত এলাকায় ত্রাণ সহায়তা এবং ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ ও প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা তৈরীর কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য যথাযথ পুর্নবাসনের জন্য পৌরসভা কাজ করে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, গেল ১৩ জুন ভারী বর্ষনে রাঙামাটি শহরের ভেদভেদীর যুব উন্নয়ন বোর্ড এলাকা,মুসলিম পাড়া.শিমুলতলী এলাকা,সাপছড়ি,মগবান,বালুখালী এলাকায় এবং জুরাছড়ি,কাপ্তাই,কাউখালী ও বিলাইছড়ি এলাকায় ৫ সেনা সদস্যসহ ১২০ জনের মৃত্যূ হয়।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.