খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলায় গৃহবধূ স্বপ্না হাজারী (৪০) হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত স্বামী চিহ্নিত হত্যাকারি গোপাল হাজারিসহ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত অপর আসামীদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে বুধবার মানববন্ধন করেছে সচেতন ছাত্র সমাজ ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি ।
খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সামনে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে এলাকাবাসীসহ সচেতন ছাত্র সমাজ ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।
মানববন্ধনে নিহত গৃহবধুর বড় বোন নিংকু বনিক বলেন,হত্যাকান্ডের বিষয়ে পানছড়ি থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে পানছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আ. জব্বার ও গোপাল হাজারীর লোকজন তাকে মামলা দায়ের করতে দেয়নি। এসময় তাদেরকে পানছড়ি থানায় প্রায় ২ ঘন্টা আটকিয়ে রাখা হয় ।
ঘটনাটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড হলেও নিহতের স্বামী এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় হত্যাকান্ডকে আত্মহত্যা বলে ছালানোর অপচেষ্টা করা হচ্ছে। গত ১ জুন রাত ১১টায় ওই গৃহবধূকে হত্যা করে পরে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে পানছড়ি থানা পুলিশ। নিহতের গলার দুই পাশে ধারালো অস্ত্রের কাটা দাগ ছিল।
পানছড়ি থানা পুলিশ মামলা না নেয়ায় পরে ৭ জুন নিহতের ভাই মেকু বণিক বাদি আদালতে হয়ে গোপাল হাজারী, ছবি ধর সহ ৫ জনকে আসামী করে খাগড়াছড়ি আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
নিহত গৃহবধুর ভাই মেকু বনিক বলেন, থানা পুলিশকে মোটা অংকের ঘুষ দিয়ে হত্যাকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। এছাড়া তাদেরকে ওই দিন পানছড়ি থানায় আটকিয়ে রাখা হয়েছে। পরে স্বপ্নার বড় ভাইয়ের কাছ থেকে জোর করে পুলিশ কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে ছেড়ে দেয় বলে অভিযোগ।
এদিকে, আদালতে দায়েরকৃত মামলার বিবরণ ও স্বপ্না হাজারীর ভাই মেকু বণিকের অভিযোগ করেছেন, গেল ১ জুন গভীর রাতে তার ছোট বোনের স্বামী গোপাল হাজারী তাদেরকে ফোন করে বলেন তার বোন স্বপ্না আত্মহত্যা করেছে। খবর পেয়ে পরের দিন ভোরে পরিবার পরিজন নিয়ে পানছড়িতে ছুটে যান তারা। গিয়ে জানতে পারেন তার বোনকে পানছড়ি উপজেলা কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে। হাসপাতালে গিয়ে দেখতে পান তার ছোট বোনের গলার দুই পাশ কাটা রয়েছে তারা দাবী করেন।
উল্লেখ্য, নিহত গৃহবধূ স্বপ্না হাজারী চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের দেওয়ানপুর গ্রামের মৃত নির্মল বণিকের মেয়ে ।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.