প্রাকৃতিক দুর্যোগে কাপ্তাইয়ে ৭শ ৮৯টি ঘরবাড়ী বিধ্বস্ত: ক্ষয়ক্ষতি ১০ কোটি

Published: 12 Jul 2017   Wednesday   

পাহাড় ধসের ঘটনায় কাপ্তাই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ৭শ ৮৯টি ঘরবাড়ী বিধ্বস্ত হয়েছে।  শুধুমাত্র ধসে পড়া ঘরবাড়ী বাবদ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ১০ কোটি টাকা। ঘরবাড়ী বিধ্বস্ত হওয়ায় কাপ্তাইয়ের ৪০পরিবারে মাথা গোজার ঠাই না থাকায় এসব পরিবারকে অস্থায়ীভাবে সরকারী বিভিন্ন পরিত্যক্ত ভবনে রাখা হয়েছে।

 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, টানা বর্ষণ ও ভুমি ধসের ঘটনায় উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ফসলিজমি,বনজ,ফলজ বাগান ও পশুপাখি, রাস্তাঘাট,মসজিদ-মন্দির সহ বাড়ীঘরের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।  শুধুমাত্র ঘরবাড়ী বিধ্বস্ত হয় ৭৮৯টি । এর মধ্যে চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নে ২৬৪ টি পরিবার, রাইখালীতে ১৮০টি পরিবার, চিৎমরমে ৮২পরিবার, কাপ্তাইয়ে ১২২ পরিবার, ওয়াগ্গা ইউনিয়নে ১২০ পরিবার এবং তালিকায় অন্তর্ভুক্তের জন্য নতুন করে ২১ পরিবার আবেদন করেছে।  এতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১০ কোটি টাকা।

 

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সুপ্তশ্রী সাহা জানান, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতে ওই তালিকা তৈরি করা হয়েছে। ইউএনও তারিকুল আলম জানান, উপজেলায় যেসব ঘরবাড়ী বিধ্বস্ত হয়েছে তার সবগুলোই টিনের অথবা কাঁচাঘর। সে অনুযায়ী ঘরবাড়ী ধ্বসে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম হয়েছে।  ফসলিজমি,বনজ,ফলজ বাগান ও পশুপাখি, রাস্তাঘাট,মসজিদ-মন্দির সহ বাড়ীঘরের  ক্ষয়ক্ষতির হিসাব স্ব স্ব কর্তৃপক্ষকে দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ হিসাব পেতে একটু সময় লাগবে। এছাড়া উপজেলায় কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার হিসাব করার জন্য জ্বালানী মন্ত্রণালয়ের তিন সদস্যের একটি কমিটি কাজ করছে। 

 

তিনি আরো জানান, ইতিমধ্যে ৫ ইউনিয়নের ৪৫ পরিবারকে ২ বান টেউটিন ও নগদ ৬ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে ঘরবাড়ী তৈরির জন্য। উল্লেখ্য, গত ১৩ জুন টানা বর্ষণ ও পাহাড়ী ধসে উপজেলার মোট ১৮জনের মৃত্যু ও ৬৪ জন আহত হয়। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

 

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত