রাঙামাটিতে জেলা পর্যায়ে ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক এ্যাডভোকেসি সভা

Published: 22 Jul 2017   Saturday   

শনিবার জেলা পর্যায়ে ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক জেলা উপজেলার চিকিৎসক,চিকিৎসক সহকারী, ল্যাব টেকনিশিয়ান, নার্স, ব্রাকের জেলা, উপজেলা পর্যায়ের মাঠ কর্মীদের নিয়ে এক এ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

রাঙামাটি সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা।


জেলা সিভিল সার্জন শহীদ তালুকদারের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের রাঙামাটি সভাপতি ডা. স্নেহ কান্তি চাকমা, ডা. শেখ মো. আব্দুস সামাদ, ডা.এম এম আক্তারুজ্জামান, ডা. বিনোধ শেখর চাকমা, সেনা বাহিনীর ডা. সোনিয়া চক্রবর্তী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুহুল আমিন ছিদ্দিক, রাঙামাটি প্রেসক্লাব সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন রুবেল। এছাড়াও উপজেলা থেকে আসা চিকিৎসক,চিকিৎসক সহকারী, ল্যাব টেকনিশিয়ানরা বক্তব্য রাখেন।

 


সভায় বক্তারা বলেন, এসময় পার্বত্য চট্টগ্রামে ম্যালেরিয়ার ভয়াবহতা ছিল মারাত্মক। চাকুরীজীবীরা সে সময় কর্মস্থলে আসতে চাইত না। সে সময় এখন আর নেই। মানুষ সচেতন হয়েছে। পাশাপাশি আধুনিক চিকিৎসা এসেছে। এনজিও কাজ করেছে। পর্যটক যারা পার্বত্য চট্টগ্রামে বেড়াতে এসে জ্বরে আক্রান্ত হন তাহলে স্থানীয় চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হতে হবে। এই জ্বর নিয়ে চলে গেলে হবে না। পাশাপাশি উপজেলা হাসপাতাল ও ইউনিয়ন পর্যায়ে স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রগুলো আধুনিকায়ন ও এসব কেন্দ্রে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দিতে হবে।

 

বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের রাঙামাটি সভাপতি ডা.স্নেহ কান্তি চাকমা বলেন, বিভিন্ন প্রতিকুলতার মাঝেও রাঙামাটির স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা তাদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।


প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা বলেন, মানুষ ম্যালেরিয়া নিয়ে অনেক সচেতন হয়েছে। এ সচেতনতা আরো বৃদ্ধি করতে হবে। মানুষ সচেতন হলে পার্বত্য চট্টগ্রামে ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে।


তিনি আরো বলেন, দুর্গমতা নয়, জন সচেতনতা পার্বত্য চট্টগ্রামে ম্যালেরিয়া নির্মুল করতে সহায়তা করবে। চিকিৎসা বিলম্ব হলে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়। ম্যালেরিয়া রোধে জনগণের সচেতন হতে হবে। মাশারী টানিয়ে ঘুমাতে হবে। স্বাস্থ্যর্মীদের মাঠে থাকতে হবে। জ্বর হলে অবহেলা না করে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। যদি অবহেলা করা হয় তাহলে যেকোন সময় ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে পারে।


তিনি বলেন, ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য বিভাগ ও এনজিওগুলো অনেক কাজ করেছে। বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রামে ম্যালেরিয়া প্রায় নেই বললে চলে। এ বছর জেলায় একটি মৃত্যুও নেই। এটি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের বড় অর্জন।


উপজেলা পর্যায়ে হাসপাতালগুলোর অবস্থা খুব নাজুক উল্লেখ করে পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন, আজকের উপজেলাটি এক সময় ইউনিয়ন ছিল। সে ইউনিয়নে জনসংখ্যা অনুপাতে ক্লিনিক করা হয়। পরবর্তীতে এগুলো উপজেলা করা হয় কিন্তু অবকাঠামো সেগুলো রয়ে গেছে। ফলে স্বাস্থ্য সেবা ব্যহত হচ্ছে। এগুলো নতুন করে নির্মাণে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। না হলে দেশ- বিশ্ব এগিয়ে যাবে আমরা পিছিয়ে থাকব।

--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত