লামায় কারিতাসের উদ্যোগে বিশ্ব দাতা সংস্থা ইউএসএআইডি এর ‘খাদ্য উন্নয়ন সহায়তা কর্মসূচী’র অর্থায়নে এনজিও ‘হেলেন কেলার ইন্টারন্যাশনাল ৫ বছর মেয়াদে লামা উপজেলায় স্যাপলিং প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যাগ নিয়েছে। এই উপলক্ষে মঙ্গলবার লামায় এক কর্মসূচী অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা পরিষদ হল রুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, লামা উপজেলা চেয়ারম্যান থোয়াইনু অং চৌধুরী। সভায় সভাপতিত্ব করেন লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খিন ওয়ান নু। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, হেলেন কেলার ইন্টারন্যাশনাল এর টিম লিডার (এমসিএইচএন) ডাঃ অং সা জাই মার্মা, টিম লিডার (জীবিকায়ন) দিপংকর চাকমা, কারিতাস প্রোগ্রাম ম্যানাজার সুভাষ গোমেজ, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শারাবান তহুরা, লামা পৌরসভার মেয়র জহিরুল ইসলাম সহ লামা উপজেলার সকল বিভাগের সরকারী কর্মকর্তা, সাংবাদিক, বিভিন্ন এনজিও প্রতিনিধি, জন-প্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট এনজিও কর্মকর্তা কর্মচারীরা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন স্যাপলিং প্রকল্প লামা উপজেলা কর্ডিনেটর ইয়াহিয়া আহমদ। প্রকল্পের বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করেন সুভাষ গোমেজ।
অবহিতকরণ সভায় স্বাগত বক্তব্যে ডাঃ অং সা জাই মার্মা বলেন, দাতা সংস্থা ইউএসএআইডি এর অর্থায়নে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সহযোগীএনজিও হেলেন কেলার ইন্টারন্যাশনাল, কারিতাস বাংলাদেশ, সিআরএস, ওয়ার্ল্ড ফিস এ স্যাপলিং প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। মাঠ পর্যায়ে লোকাল এনজিও’র মাধ্যমে উক্ত প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। লামা উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ৫৯৫টি পাড়ায় এই প্রকল্পের কর্মএলাকা হিসেবে চিহ্নিত করছে।
প্রকল্পের বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপনকালে সুভাষ গোমেজ বলেন, নারী ও পুরুষের উভয়ের জন্য আয় ও পুষ্টিকর খাদ্যের সহজপ্রাপ্যতা, গর্ভবতী নারী, দুগ্ধদানকারী মা ও ৫ বছরের কম বয়সী শিশু এবং কিশোরীদের পুষ্টিমান উন্নয়ন ও প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবেলায় সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করবে এই প্রকল্প।
উপজেলা চেয়ারম্যান থোয়াইনু অং চৌধুরী, লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) খিন ওয়ান নু ও লামা পৌরসভার মেয়র জহিরুল ইসলাম তাদের বক্তব্যে এই প্রকল্পের সফল বাস্তবায়ন কামনা করেন। সকলের সমন্বয়ে এ প্রকল্পের কাজ অব্যাহত রাখলে এ কাজের উদ্যেশ্য যথাযথভাবে সফল হবে বলে আশা ব্যক্ত করেছেন।
স্যাপলিং প্রকল্পের লামা উপজেলা কর্ডিনেটর ইয়াহিয়া আহমদ বলেন, ২০১৫ সালের সেপ্টম্বর থেকে এ স্যাপ্লিং প্রকল্পটির যাত্রা শুরু হয়। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে কতো অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এমন এক প্রশ্নের জবাবে প্রকল্পের কর্ডিনেটর ইয়াহিয়া আহমদ বলেন, স্যাপলিং প্রকল্পের অর্থ বরাদ্দের বিয়টি আমার জানা নেই। এটি হেড অফিস দেখা শুনা করে। আমি শুধু কাজের অগ্রগতি হচ্ছে কিনা এবং কাগজ পত্র দেখাশুনা করি।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.