বরকলের সুবলং হাজাছড়া সাম্য বৌদ্ধ বিহারে বৌদ্ধ ধর্মীয় সভার আয়োজন

Published: 29 Jul 2017   Saturday   

রাঙামাটির দূর্গম বরকল উপজেলার সুবলং হাজাছড়া সাম্য বৌদ্ধ বিহারে বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের আসন্ন দানোৎতম কঠিন চীবর দান ও বিহার উন্নয়ন উপলক্ষে শনিবার এক ধর্মীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

 

বিহার প্রাঙ্গনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ধর্মীয় সভায় ধর্মদেশনা দেন হাজাছড়া সাম্য মৈত্রী বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ সংঘপাল মহাথের ও বাঘাছলা বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ বোধিপ্রিয় মহাথের। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার। এ সময় রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, জেলা পরিষদের সদস্য সুবির কুমার চাকমা, পরিষদের সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া ,পরিষদের সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া, রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জ্যোর্তিময় চাকমা কেরল,  বরকল উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সন্তোষ চাকমা, বুদ্ধ ধর্ম কল্যান ট্রাষ্ট এর সদস্য দীপক চাকমা, বুদ্ধাংকুর বৌদ্ধ বিহারের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী মৎস্য লীগের সভাপতি উদয়ন বড়–য়া, বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি সুশান্তময় চাকমা, আওয়ামীলীগ নেতা অমলেন্দু চাকমা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বুদ্ধমূর্তি, অষ্টপরিস্কার, সংঘদান’সহ দেশ ও জাতির শান্তি কল্যানে প্রার্থনা করা হয়।

 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষাকে গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার বলেন, ধর্মীয় শিক্ষা সমাজের খারাপ দিকগুলোকে পরিহার করে মানুষের ভালো ও কল্যানকর কাজ করতে সহযোগিতা করে। এরই লক্ষ্যে বর্তমান সরকার ধর্মীয় চর্চার পাশাপাশি যার যার ধর্ম যাতে সঠিকভাবে পালন করতে পারে সে জন্য মসজিদ, মন্দির, বৌদ্ধ মন্দির, গীর্জাসহ সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নির্মান’সহ উন্নয়নমূলক কাজ করে যাচ্ছে। এ সরকার গন মানুষের সরকার।

 

 তিনি আরো বলেন, ৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধে দেশ স্বাধীন করার লক্ষ্যে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান সকল ধর্মের মানুষ পাকিস্থানি হানাদের উপর ঝাপিয়ে পড়েছিল বলেই আমরা বিশ্বের মানচিত্রে বাংদেশ নামে একটি দেশ পেয়েছি। তাই দেশের সকল সম্প্রদায়ের মানুষের কল্যানে আওয়ামীলীগ সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এক কথায় এ সরকার সাম্প্রদিক সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী।

 

তিনি  বলেন, আমি রাজনীতি করে উচ্চ পদে থাকি আর নাইবা থাকি  সবসময় সাধারন জনগনের পাশে ছিলাম থাকবো।  আগামীতেও আপনাদের আর্শিবাদ ও ভালোবাসা নিয়ে এগিয়ে দেশ সেবায় এগিয়ে যেতে চাই। তিনি চলতি অর্থ বছরে এ মন্দিরের উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

 

জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বলেন, ধর্মীয় নীতি ও আদর্শকে মেনে চললে জীবনে প্রতিষ্ঠিত ও সৎ হওয়া যায়। সকল ধর্মেই শান্তির বানী দেওয়া রয়েছে। কোন ধর্মেই অশান্তি, হানাহানি, হত্যার কথা বলা নেই। তিনি বলেন, লোভ ও হিংসা ত্যাগ করতে পারলেই প্রকৃত সুখ। সমাজের সব খারাপ দিকগুলোকে পরিহার করে মানব কল্যানে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে পারাটাই বড় ধর্ম। তিনি আসন্ন দানোৎত্তম কঠিন চীবর দান সুষ্ঠ  ও সুন্দরভাবে মন্দির পরিচালনা কমিটিকে পরিষদ থেকে এক লক্ষ টাকা ও এক টন খাদ্য শষ্য প্রদানের প্রতিশ্রুতী ব্যক্ত করেন।  

 --হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

 

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত