রাঙামাটিতে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় কাউকে বসতি স্থাপন করতে দেয়া হবে না-জেলা প্রশাসক

Published: 01 Aug 2017   Tuesday   

রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান বলেছেন,পাহাড় ধসে যারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তাদের পূর্নবাসনের সর্বাত্নক চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তবে যাদের জমিজমা ও ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তাদের আগের জায়গায় আর পূর্নবাসন করা হবে না। তবে তার পাশাপাশি কোন একটি জায়াগায় তাদের পূর্নবাসন করা হবে।

 

তিনি বলেন, প্রভাবশালী এবং ভূমিদস্যুরা পাহাড় দখল করে বাড়ীঘর করছে। জমির নিজস্ব মালিকানা দাবি করছে। এগুলো প্রতিহত করা হবে।  এখন থেকে কোন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় কাউকে বসতি স্থাপন করতে দেয়া হবে না।

 

তিনি পাহাড় ধসের ঘটনায় বাবা-মা-কে হারানো দুই শিশু মিম ও সুমাইয়ার ভরণ-পোষণের দায়িত্ব নেয়ার ঘোষনা দেন।

 

মঙ্গলবার রাঙামাটিতে একশনএইড বাংলাদেশ-এর পক্ষ থেকে সম্প্রতি পাহাড় ধসের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে জরুরী অর্থ সহায়তা প্রদানকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

 

স্থানীয় উন্নয়ন সংস্থা গ্রীনহীলের সহযোগিতা রাঙামাটি সাংস্কৃতিক মিলনায়তনে আয়োজিত অর্থ সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে  গ্রীনহীলের নির্বাহী পরিচালক মং থোয়াই চিং মারমার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন একশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ্ কবির, রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ। গ্রীনহিলের চেয়ারপার্সন টুকু তালুকদারের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্যে দেন  একশনএইড বাংলাদেশ-এর ম্যানেজার আব্দুল আলিম,স্থানীয় কারবারী মনিষা চাকমা ও দিশারী চাকমা। 

 

অনুষ্ঠানে অতিথিরা স্টার্ট ফান্ড বাংলাদেশের  আর্থিক সহযোগিতায়  রাঙামাটিতে পাহাড় ধসে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ২৪৮ জনকে ৯ হাজার টাকা ও অপেক্ষকৃত কম ক্ষতিগ্রস্ত ৫৪৩ জনকে ৪ হাজার টাকার চেক প্রদান করেন। যাতে ক্ষতিগ্রস্তরা ঘরবাড়ি তৈরির সরঞ্জাম কেনা ও অন্য জরুরি উপাদান কিনতে পারবেন।

 

অনুষ্ঠানে বক্তারা রাঙামাটিতে পাহাড় ধ্বসে ক্ষতিগ্রস্তদের পূনর্বাসনের জন্য  দীর্ঘমেয়াদী সহযোগিতা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন।

 

একশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ্ কবির বলেন, “একটু বেশি সতর্কতা নিলেই হয়ত এই পাহাড় ধ্বসে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো ও হারিয়ে যাওয়া মানুষগুলোকে আমরা রক্ষা করতে পারতাম। মানুষ সব হারিয়েছেন এটাই বাস্তবতা। জলবায়ূ পরিবর্তন আমাদের ভাবিয়ে তুলছে। যার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে আমাদের ইচ্ছাকৃত উদ্যোগ। দুর্যোগ মোকাবেলায় আমাদের অনেক বেশি সতর্ক হতে হবে। জানতে হবে দুর্যোগ মোকাবেলায় করণীয়”।

 

তিনি আরো বলেন, পাহাড় ধসের ঘটনার পর পরই রাঙামাটিতে একশনএইড বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য আর্থিক, সামাজিক ও মানুসিক সহযোগিতা করে যাচ্ছে। নারী নেতৃত্বের মাধ্যমে  প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত খুঁজে বের করেছি। তবে প্রকৃত যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের দীর্ঘ মেয়াদী সহযোগিতা দরকার। সে জন্য কাজ চলছে।  তিনি আগামীতে এ রকম দুর্যোগ যাতে না হয় এবং হলে তা সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধে কাজ করার সক্ষমতা তৈরির পরামর্শ দেন।

 

একশনএইড বাংলাদেশ জানিয়েছে পাহাড় ধ্বসের ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা রাঙামাটি ও বান্দরবানে একশনএইড বাংলাদেশের জরুরি সাড়া প্রদানকারী দল পরস্থিতিি মোকাবলো ও উন্নয়নে কাজ করছ। ক্ষতগ্রিস্ত মানুষরে চাহদিা নরিুপন, ত্রাণ র্কাযক্রম পরচিালনা, নারীদরে জন্য সহায়তা কন্দ্রে নর্মিাণ ও মনোসামাজকি সহায়তার জন্য র্সাবক্ষণকি কাজ করছে প্রতষ্ঠিানটি। এছাড়া একশনএইড বাংলাদেশ দুর্যোগে সাড়া প্রদানের জন্য নারীদের নেতৃত্বের বিষয়টি সামনে নিয়ে এসেছে। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, যে কোন দুর্যোগকালীন, পূর্বে ও পরে করণীয় বিষয়গুলো নারীরা ভাল জানেন। তাই নারীরা যদি দুর্যোগ মোকাবেলায় কাজ করে সেটি বেশি ফলপ্রসূ হবে।

 

উল্লেখ্য, গেল ১৩ জুন পাহাড় ধসের ঘটনায় রাঙামাটিতে ৫ সেনা সদস্যসহ ১২০ জনের প্রাণহানী ঘটে।  এ ঘটনায় জেলায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ১৮ হাজার ৫৫৮টি পরিবার।

--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর. 

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত