লামায় বিদ্যালয় শ্রেণী কক্ষে বৃষ্টির পানি পড়ায় শিক্ষার্থীরা ছাতা মাথা দিয়ে ক্লাশ

Published: 03 Aug 2017   Thursday   

শ্রেণী কক্ষের ভেতর বৃষ্টির পানি পড়ায় ছাতা খুলে ক্লাশ করছে লামা পৌর শহরের ৪নং ওয়ার্ডে অবস্থিত চেয়ারম্যাম পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা। 

 

ব্যবহারের উপযোগী ভবন না থাকায় এ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে এভাবে। স্কুলটির ভাঙ্গা ভবন নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। বৃষ্টিতে প্রতিনিয়ত ভিজার কারণে ছাত্র- ছাত্রীরা রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে।

 

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় ও বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৮১ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয় এবং একই বছর ৩ কক্ষ বিশিষ্ট ভবনটি নির্মাণ করা হয়। ভবনটির বিভিন্ন অংশে ফাটল এবং টিনগুলো ছিদ্র হয়ে যায়। ভবনটির নড়বড় অবস্থা দেখে ২০১১ সালে ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী বেশী হওয়ার কারণে কোন উপায় না দেখে শিক্ষকরা উক্ত ঝুকি পূর্ণ ভবনের মাঝে পাঠদান চালাচ্ছেন। বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে শিক্ষার্থী রয়েছে ৩৬১ জন। কর্মরত রয়েছেন ১০জন শিক্ষক। এর মধ্যে কমরর্ত রয়েছেন প্রধান শিক্ষকসহ ৬জন। বাকী ৪জন শিক্ষকের মধ্যে দু`ই সহকারী শিক্ষিকা মাতৃত্বকালীন, অক্যাচিং মার্মা ডিপিএড ট্রেনিংয়ে রয়েছেন। তবে বিদ্যালয়ে শিক্ষক স্বল্পতার মাঝেও গেল ১৭ জুলাই জেলা শিক্ষা অফিস রিক্তা আরা বেগম নামের সহকারী শিক্ষককে ডেপুটিশনে নাইক্ষ্যংছড়ি মডেল মডেল সরকারী বিদ্যালয়ে রয়েছেন।

 

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক উথোয়াই য়ই  মার্মা জয়, মিরা রানী দাশ, ফারহেনা ভবন, রাবেয়া বসরী বলেন, বিদ্যালয়টিতে ভবন ছাডাও হাই বেঞ্চ লো-বেঞ্চ সংকট রয়েছে। এ ছাড়া খাবার পানির সংকট রয়েছে। দুটি শৌচাগারের একটি ভেঙে গেছে। তারা আরো বলেন, শ্রেণী কক্ষ না থাকার কারণে  আমরা বাধ্য হয়ে পরিত্যক্ত ভবনে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করতে হচ্ছে।

 

বিদ্যালয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে,বিদ্যালয়ের পুরোনো ভবনটিতে বড় বড় ফাটল রয়েছে। টিন ছিদ্র হয়ে পড়ায় শ্রেণী  কক্ষে বৃষ্টির পানি পড়ছে। এর মাঝে ৩য় শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীরা শ্রেণী কক্ষে ছাতা খোলে ক্লাশ করছেন। এর কারণে ছাত্র- ছাত্রীদের বই খাতা ভিজে নষ্ট হচ্ছে। পাশাপাশি ছাত্র- ছাত্রীরা প্রতিয়ত বৃষ্টিতে ভেজার কারণে  অসুখে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে।

 

৩য় শ্রেণীর ছাত্রী কনিকা আক্তার, মোঃ সাকিব ও নিশা পুরি মোঃ মেহেদী হাসান  জানায়, বৃষ্টি পড়লে ‘বৃষ্টির মাঝে তাদেরকে ছাতা খোলে ক্লাশ করতে হয় । এ বর্ষায় প্রতিদিন ক্লাশে ভিজতে হয় তাদের। তারা ভিজে ভিজে বাড়ি চলে যায়। তাদের অনেক কষ্ট হচ্ছে। তারা শ্রেণী কক্ষটি জরুরী ভিত্তিতে মেরামত করার দাবী জানিয়ে বিদ্যালয়ে আরেকটি নতুন ভবনের দাবী জানিয়েছে।

 

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুর রহিম জানান,বিদ্যালয়ের এ ভবনটি ১৯৮১ সালে নির্মান করা হয়। গেল ২০১১ সালে টিন সেড এ ভবনটি পরিত্যাক্ত ঘোষনা করা হয়।  বিদ্যালয়ের শ্রেণী কক্ষসহ নানা সমস্যা উল্লেখ করে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।

 

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা যতিন্দ্র মমোহন মন্ডল বলেন, বিদ্যালয়ের ভবনের জন্য মন্ত্রনালয়ে পত্র পাঠিয়েছি। জরুরী ভিত্তিতে বিদ্যালয়ের পাঠদানের জন্য আপাতত কাঁচা কোন ঘর তৈরী করার ব্যবস্থা থাকলে শিক্ষা অফিস তড়িঘরি করে করে দিতো।

--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

 

 

 

 

 

 

 

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত