পানছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১৩ বছর ধরে জরুরী প্রসূতি সেবা বন্ধঃএক্স-রে মেশিনও নষ্ট

Published: 04 Aug 2017   Friday   
no

no

দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে জরুরী প্রসূতি সেবা কার্যক্রম বন্ধ রযেছে খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার একমাত্র হাসপাতালে। ব্যবহার না করার কারণে নষ্ট হয়ে গেছে এক্স-রে মেশিনটিও। এ ছাড়া ২ থেকে ৩জন চিকিৎসক বাদে কর্তব্যরত চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে নিয়মিত ও সময়মতো হাসপাতালে না আসার অভিযোগও রয়েছে।


হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ১০শস্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ ৬জন চিকিৎসক কর্মরত রয়েছেন। আরএমও কর্মকর্তাসহ সিনিয়র এনেষ্টেশিয়ার, সিনিয়র সার্জারী অফিসার, মেডিসিন বিশেষজ্ঞের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো খালি রয়েছে। ফলে উপজেলার একমাত্র হাসপাতালটির চিকিৎসা সেবা চরম ব্যাঘাত ঘটছে।


সুত্র আরো জানায়, ২০০৪ সালে ডাঃ জয়া চাকমা গাইনি কনসালটেন্ট বিয়য়ে এক বছরের জন্য প্রশিক্ষনে ও ডাঃ শহীদ তালুকদার কর্মদক্ষতা বাড়ানোর জন্য প্রশিক্ষণে যাওয়ার পর থেকে জরুরী প্রসূতি সেবা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ৩ মার্চ ২০০৪ সালে সর্বশেষ এক মহিলাকে সিজার করানো হয়। প্রশিক্ষন শেষ হওয়ার পর তারা পানছড়ি স্বাস্থ্য হাসপাতালে যোগদান না করে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে বদলী হয়ে যান। এরপর থেকে আর সিজার বন্ধ রয়েছে হাসপাতালে। জরুরী প্রসূতি সেবা কার্যক্রম বন্ধ থাকায় অনেক গর্ভবতী অনেক মহিলাকে নিরাপদ মাতৃত্বের জন্য আগে থেকেই খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের আসে পাশে বা আত্বীয়দের বাসায় চলে চলে যেতে হচ্ছে। এতে ভূক্তভোগী জনসাধারণকে আর্থিক হয়রানী হতে হচ্ছে।


এদিকে, আবাসিক মেডিকেল অফিসার না থাকায় অ্যাডহক ভিত্তিত্বে নিয়োগ প্রাপ্ত মেডিকেল অফিসার ডাঃ বিদূর্শী চাকমা দায়িত্ব পালন করছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০১০ সালে ১ জুলাই এ অ্যাডহক ভিত্তিত্বে মেডিকেল অফিসার হিসেবে এ হাসপাতালে যোগদান করেন। অন্যদিকে অপারেটর থাকার পর লো-ভোল্টেজের কারণে ব্যবহার না করায় নষ্ট হয়ে গেছে এক্স-রে মিশিনটি। ফলে সামান্য এক্স -রে করার জন্য ও খাগড়াছড়িতে যেতে হচ্ছে।

 

এক্স-রে অপারেটর সৌরভ চাকমা জানান,গেল দুই বছর আগে কয়েকবার এক্স-রে করা হয়েছে। লো-ভোল্টেজের কারণে এক্স-রে করা যায়নি। ফলে মেশিনের কিছু পার্ট নষ্ট হয়েছে। উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে বলার পর একটি তদন্ত টিম এসেছে। দলটি উর্ধতন কতৃপক্ষকে অবহিত করবেন জানিয়েছে। এরপর মেশিনটি ঠিক করার জন্য কোনো লোক আসেননি।


উপজেলা হাসপাতালে স্বাস্থ্য কর্মাকর্তা ডাঃ সনজীব ত্রিপুরা বলেন,সিনিয়র এনেষ্টেশিয়ার, সিনিয়র সার্জারী অফিসার, মেডিসিন বিশেষজ্ঞের অভাবে জরুরী প্রসূতি সেবা(সিজার) কার্যক্রম করা যাচ্ছে না। এ হাসপাতালের সমস্যার ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসন, জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে অনেক বার বলা হয়েছে।

 

পানছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবুল হাশেম বলেন,উপজেলার একমাত্র হাসপাতাল এটি। তাই উপজেলাবাসী যেন চিকিৎসা সেবার মতো মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয় সে ব্যাপরে হাসপাতালে প্রয়োজনীয় চিকিৎসকসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে  জানানো হয়েছে।

--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত