ছেলের হাতে খুনের আট দিন পর কাচালং নদীতে থেকে হতভাগা পিতার লাশ উদ্ধার

Published: 14 Aug 2017   Monday   

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার বটতলী এলাকায় কাচলং নদীতে ভাসমান অবস্থায় এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তার নাম শান্তি লাশ চাকমা(৪৬)। লাশ উদ্ধোর করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার বাড়ী সাজেক ইউনিয়নের উত্তর ভাইবোন ছড়া এলাকায়। আট দিন আগে দুই ছেলে মৃত শান্তি লাল চাকমার গলা কেটে হত্যা করে নদীতে ভাসিয়ে দেয় বলে পুলিশ জানিয়েছে। 

 

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, টানা বৃষ্টিপারে কারণে কাচলং নদীর পানি বাড়ায় একটি মৃতদেহ স্রোতে ভেসে যাওয়ার সময় বাঘাইছড়ি উপজেলা সদরের বটতলী এলাকায় স্থানীয়রা দেখতে পায়। এতে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে সাজেক ইউপি চেয়ারম্যানকে খবর দিলে তিনি নিহতের আত্বীয়দের খবর দিলে তারা থানায় গিয়ে শান্তি লাল চাকমার মৃত দেহ বলে সনাক্ত করেন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি মর্গে পাঠানো হয়েছে।


পুলিশ জানায়, গেল ৬ আগষ্ট সাজেকের মাচালং এর উত্তর ভাইবোন ছড়া এলাকায় পারিবারিক কলহের জের ধরে দুই ছেলে সোহেল চাকমা ও আলোময় চাকমা মৃত শান্তি লাল চাকমাকে দারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে কাচালং নদেিত ভাসিয়ে দেয়। এ ঘটনায় মৃত শান্তি লাল চাকমার নিকট আত্বীয় সাজেক থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ সোহেল চাকমা ও আলোময় চাকমাকে আটক করে। বর্তমানে তারা জেল হাজতে রয়েছে।


সাজেক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আমীর হোসেন লাশ উদ্ধারের কথা সত্যতা স্বীকার করে জানান, শান্তি লাল চাকমার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি মর্গে পাঠানো হয়েছে।


সাজেক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ নূরুল আনোয়ার জানান, গেল ৬ আগষ্ট সাজেকের মাচালং এর উত্তর ভাইবোন ছড়া এলাকায় পারিবারিক কলহের জের ধরে শান্তি লাল চাকমার দুই ছেলে তাকে গলা কেটে মৃত্যুর নিশ্চিত হয়ে কাচালং নদেিত ভাসিয়ে দেয়। এ ঘটনায় মৃত ব্যক্তির নিকট এক আত্বীয় থানায় মামলা দায়ের পর পুলিশ দুজনকে আটক করেছে। তারা থানায় হত্যার সাথে জড়িত বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। ।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

 

 

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত