পাহাড়ের জলবায়ু তহবিল বাস্তবায়নে সচ্ছতা জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে

Published: 17 Aug 2017   Thursday   

পাহাড়ের জলবায়ু তহবিল বাস্তবায়নে সচ্ছতা জবাবদিহিতা  নিশ্চিত করতে হবে। এ তহবিল পার্বত্য চট্টগ্রামের বাস্তবায়ন করতে হলে আগে জেলা পরিষদ আঞ্চলিক পরিষদ শক্তিশালী ও জনগণের প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে হবে। পাশাপাশি জেলা প্রশাসন, বন বিভাগ, পৌরসভা, উপজেলা, ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে সমন্বয় করে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে। এ তহবিলের অর্থায়নে সচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা না হলে এ তহবিলের সঠিক ও যথাযত বাস্তবায়ন হবে না।

 

বৃহস্পতিবার রাঙামাটিতে জলবায়ু অর্থায়ন ও প্রকল্পের সচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও জনগণের অংশগ্রহণ চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা বিষয়ক  মতবিনিময় সভায় অংশ গ্রহনকারী বক্তারা।

 

টিআইবি’র সহযোগী সংগঠন নচেতন নাগরিক জেলা কমিটির(সনাক) উদ্যোগে দিন ব্যাপী মতনিমিয় সভায় সভাপতিত্ব করেন সনাকের সভাপতি চাঁদ রায়। বক্তব্যে রাখেন  টিআইবি’র ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোঃ নেওয়াজুল মওলা, স্বাগত বক্তব্যে দেন সনাক সদস্য মোজাম্মদ আলী। মতবিনিময় সভায় জেলার বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী সংস্থার কর্মকর্তা ও অংশীজনরা অংশ গ্রহন করেন।

 

সনাক সদস্য মুজিবুল হক বুলবুল বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামে বেশী নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। একের পর এক দুর্যোগ আঘাত করছে। এ থেকে রক্ষার জন্য জনসচেতন গড়ে তুলতে হবে। নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন বন্ধ করতে হবে। ফার্নিচার পাচার বন্ধ করতে হবে। সড়ক সংস্কারে গাছ ব্যবহারের পরিবর্তে বিকল্প ব্যবস্থা চিন্তা করতে হবে।

 

রাঙামাটি পৌর কাউন্সিলর কালায়ন চাকমা বলেন, জলবায়ু তহবিল বাস্তবায়নে অতীতে সমন্বয়হীনতা দেখে গেছে। এর কারণে ভাল করতে গিয়ে একদিকে আরো ক্ষতি হচ্ছে।

 

আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমা বলেন, পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়ায় আঞ্চলিক ও জেলা পরিষদ অকার্যকর অবস্থায় রাখা হয়েছে। ভুমি বিরোধ নিষ্পত্তি না হওয়ার কারণে বন ও ভুমির উপর অত্যাচার চলছে। কৃত্রিমভাবে পাহাড়ের জনবসতি বাড়ানো হচ্ছে।

 

এনজিও কর্মী পলাশ খীসা বলেন, প্রাকৃতিক বন কেটে এক প্রকারের গাছ লাগিয়ে বাগান করে বনায়নের কথা বলা হচ্ছে। এটি বন নয় এটি বাগান করা হয়। এটি পরিবেশে ক্ষতি করে। প্রাকৃতিক বনগুলো সংরক্ষণ করতে হবে।  গ্রামীণ সাধারণ বন সংরক্ষণের উদ্যোগ নিতে হবে। 

 

সাংবাদিক হিমেল চাকমা বলেন, জেলা পরিষদ, আঞ্চলিক পরিষদ এগুলো কার্যকর না করে এদের কাছে জলবায়ু তহবিল বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হলে দুর্নীতি হবে এটি নিশ্চিত। এসব প্রতিষ্ঠান জনগণের কাছে দায়বদ্ধ নয়। পাশাপাশি সমন্বয়হীনতা করতে হবে। অতীতে  জেলা পরিষদের এ প্রকল্পে যেভাবে দুর্নীতি করা হয়েছে সেগুলো এর প্রমাণ। অনুসন্ধানে দেখা গেছে কারোর ব্যাক্তিগত উদ্যোগে কাজের ছবি দিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের সফলতা দেখানো হয়েছে।  এদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অথচ এসব এরা দুদকের দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য ও সাধারণ সম্পাদক হয়েছে।

 

সনাক সভাপতি সভাপতি চাঁদ রায়ের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায়, বনবিভাগ, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল, কৃষি বিভাগ, শিক্ষা বিভাগ, জেলা প্রাশাসন, পুলিশ প্রশাসন, দুদকসহ জেলার বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী সংস্থার প্রতিনিধিত্ব করা কর্মকর্তারা প্রাতিষ্ঠানিক বিভিন্ন অভিজ্ঞতা সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন।

--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত