রামগড়ে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষন ঘটনার দোষীর শাস্তির দাবীতে সংবাদ সম্মেলন

Published: 31 Aug 2017   Thursday   

খাগড়াছড়ি জেলার রামগড়ে রিক্সা চালক অসহায় এক গরীব মেয়েকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষনের ঘটনার দোষী ব্যক্তির শাস্তি এবং থানায় মামলা করায় জীবন নাশের হুমকীর প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।


বৃহস্পতিবার খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলন থেকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রামগড় থানার এসআই মোবারক হোসেন’র বিরুদ্ধে আসামীদের যোগসাজসে ভয়ভীতি দেখানো এবং আসামী আটকের পর থানা থেকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ করা হয়।


সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভিকটিমের বড় ভাই আনোয়ার হোসেন। এসময় ভিকটিম এবং তার বাবা আহসান উল্ল্যাহ উপস্থিত ছিলেন।


সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, পাশাপাশি বাড়ী হওয়ার কারণে আসামী আরমান হোসেন এবং তার পরিবারের সাথে ভিটটিম পরিবারের সু-সর্ম্পক এবং সখ্যতা ছিল। সে সুবাদে নানা অজুহাতে আসামীর নিয়মিত ভিকটিমের বাড়ীতে যাতায়াতের সুবাদে গেল বছরের ১৫ নভেম্বর বাড়ীতে পুরুষ কোন লোক না থাকায় মেয়েকে একা পেয়ে জোরপুর্বক ধর্ষন করে এবং কোরআন শপথ করে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেয়। এক পর্যায়ে মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে পড়ে। পরে বিয়ের জন্য চাপ দিলে নানা তালবাহানা শুরু করে এবং মেয়েকে এড়িয়ে যেতে শুরু করে। নিরুপায় হয়ে আরমানের বাবা মাসহ আত্বীয় স্বজনকে বিষয়টি জানালে তারা প্রথমে অভিযোগটি আমলেই নেননি। উল্টো তারা তাদের ছেলে শিশু, এধরনের কাজ করতেই পারে না বলে দাবী করে। অন্যের পাপ তার ছেলের গাড়ে চাপানো পাল্টা অভিযোগ তুলে নানা ভাবে ভয়ভীতি এবং হুমকি ধামকী প্রদান করে। পরে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে দুই দফায় সালীশ বৈঠকও কোন সুরাহা না হওয়ায় রামগড় থানায় নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষনের অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়। থানা পুলিশ শুরু থেকেই মামলা গ্রহনে নানা গড়িমসি এবং তালবাহানা করে। ১নং আসামী ছাড়া অন্যদের এজহার থেকে সুকৌশলে বাদ দিয়ে দেয়। অথচ এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে এবং সুষ্ঠ সামাজিক বিচার ফায়সালায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে বাদ দেয়া আসামীরাই জোরালো ভুমিকা পালন করেছিল ।


সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয় , মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রামগড় থানার এসআই মোবারক হোসেন মামলা দায়েরের পর পরই আসামীদের সাথে যোগসাজসে প্রভাবিত হয়ে উল্টো ভিকটিম পরিবারকেই নানাভাবে ভয়ভীতি দেখান এবং কোন ফলাফল পাবে না বলে সমঝোতা করে নিতে বলেন। পুলিশ মামলার আসামীকে গ্রেফতার না করে কালক্ষেপন করতে থাকে। মামলার ১৭দিন পর আসামীর তার বাড়ীতে অবস্থানের বিষয়টি নিশ্চিত করলে সহকারী পুলিশ সুপারের নির্দেশে আটক করে থানায় নেয়ার কয়েক ঘন্টা পর পরই আসামীকে ছেড়ে দেয়া হয় । থানা থেকে ছাড়া পেয়ে ১ নং আসামী আরমান বর্তমানে আত্নগোপন করেছে এবং সমতল জেলায় ভুয়া নাম ঠিকানা ব্যবহার করে পাসপোর্ট সংগ্রহ করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে ।


সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয় যে, প্রতিকার চেয়ে ধর্ষন মামলা করে তারা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। ঘর থেকে তুলে নেয়া , রাতের আধারে পরিবারেরে সবাইকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেয়ার হুমকী দেয়া হচ্ছে আসামী পরিবারের পক্ষ থেকে । অসহায় পিতা ন্যায় বিচার পেতে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আইজিপির হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত