রাঙামাটিতে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি গঠন

Published: 04 Sep 2017   Monday   

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের মেয়াদোত্তীর্ন রাঙামাটির কমিটির প্রতি অনাস্থা জানিয়েছে রাঙামাটির সনাতনী হিন্দু নাগরিক সমাজ। ঘোষনা করা হয়েছে অন্তরবর্তী কালীন রাঙামাটিতে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ নামে নতুন কমিটি।

 

এদিকে, সনাতন হিন্দু ধর্মালবম্বীদের আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্নভাবে উদযাপনের জন্য ২৫ সদস্যের আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়।

 

রোববার শহরের বনরূপায় একটি কমিউনিটি সেন্টারে রাঙামাটি জেলার সকল মঠ মন্দিরের প্রতিনিধি ও সনাতন সমাজের ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে সাধারণ সভায় অনুষ্ঠিত হয়। পূজা উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক শিক্ষক বাদল চন্দ্র দে এর সভাপতিত্বে সভায় অতিথি ছিলেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ত্রিদীপ কান্তি দাশ, জেলা পরিষদ সদস্য স্মৃতি বিকাশ ত্রিপুরা, বিশিষ্ট সনাতনী ব্যাক্তিত্ব অমলেন্দু হাওলাদার, রাঙামাটি গীতাশ্রম মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি আশিষ দাশ গুপ্ত, রাঙামাটি নারায়ন মন্দিরের সভাপতি আশিষ চৌধুরী, রাঙামাটি শংকর মিশনের সভাপতি দিলীপ নন্দী, রাঙ্গামাটি কৈবল্য কুঞ্জ মন্দিরের প্রতিনিধি বাবলা মিত্র, রাঙামাটি গর্জনতলী দূর্গা মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক ঝিনুক ত্রিপুরা, রাঙামাটি ভেদভেদী কালী মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক রিপন ঘোষ,  বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ লংগদু উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রতন চৌধুরী, পূজা উদযাপন পরিষদ বিলাইছড়ি উপজেলা শাখার সভাপতি সুকুমার চক্রবর্ত্তী, কাপ্তাই উপজেলা শাখার সভাপতি দীপক ভট্টচার্য্য, সাধারণ সম্পাদক সাগর চক্রবর্ত্তী, কাউখালী উপজেলার সভাপতি মিলন পালিত, নানিয়ারচর উপজেলার জগন্নাথ মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রতন দাশ,  পূজা উদযাপন পরিষদ রাঙামাটি জেরা শাখার প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক সুধীর দাশ, প্রাক্তন যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মিলন নন্দী নান্টু’সহ জেলার অন্যান্য উপজেলা ও বিভিন্ন মঠ মন্দিরের নের্তৃবৃন্দরা বক্তব্য দেন।

 

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন  বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ রাঙামাটি জেলা শাখার যোগাযোগ, সমন্বয় ও বাস্তবায়ন সদস্য সচিব স্বপন মহাজন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ রাঙামাটি জেলা শাখার যুগ্ন সম্পাদক দেবব্রত চৌধুরী কুমকুম।

 

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের বর্তমান মেয়াদোত্তীর্ন ৭ বছরের রাঙামাটির কমিটির প্রতি অনাস্থা জানিয়ে এ আহবায়ক কমিটি ঘোষনা করা হয়।

 

আহবায়ক কমিটিতে রাঙামাটির বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ বাদল চন্দ্র দে কে আহবায়ক ও সমাজ সেবক স্বপন কান্তি মহাজনকে সদস্যসচিব করে ২৫ সদস্যের আহবায়ক কমিটি ঘোষনা করা হয়। এ কমিটি আসন্ন দুর্গাপূজা উদযাপনে রাঙামাটির সকল মঠ মন্দিরে সার্বিক সহায়তা ও সমন্বয় করবে এবং  পূজা শেষে যতদ্রুত সম্ভব বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের জেলা কমিটি গঠনে সন্মেলন আয়োজনের উদযোগ নেবে। রাঙামাটির সকল এবং ১০ উপজেলার  মঠ মন্দিরের ২৫০ জন প্রতিনিধি ও সনাতন সমাজের ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে সর্বসন্মত ভাবে এ সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। 

 

সাধারণ সভায় সাধারণ সভায় বিগত সভার কার্য বিবরণী পাঠ করেন যোগাযোগ, সমন্বয় ও বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য পরেশ মজুমদার। সভায় সমন্বয় ও বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যবৃন্দ ও প্রত্যেক উপজেলার মঠ মন্দিরের প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন।

 

সাধারণ সভায় যোগাযোগ,সমন্বয় ও বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য ও উপজেলার মঠ মন্দিরের প্রতিনিধিরা তাদের বক্তব্যে বলেন, রাঙামাটি পূজা উদযাপন পরিষদ নির্দিষ্ট মেয়াদোত্তীর্ন হওয়ার পরও ৭ বছরেও কোন সন্মেলন না দিয়ে অবৈধভাবে কাজ করছে। তাদের কার্যকাল সময়ে উপজেলার কোন মঠ মন্দিরে তাদের কোন সাহায্য সহায়তা পাওয়া যায়নিদ্বারা সনাতন সমাজের কোন জন কল্যান হয়নি। এ মেয়াদোত্তীর্ন কমিটিকে সনাতনী অনাস্থা দিয়েছে। যা বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রিয় কমিটির বরাবরে যথযথ ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রিয় কমিটির নির্দেশে চট্টগ্রামের নেতৃবৃন্দ রাঙামাটিতে আলাপ আলোচনার জন্য এসেও  কোন সুরাহা করতে পারেননি। বরং ্এক পক্ষের সঙ্গে কোন আলোচনা না করে জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছেন।

 

রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিসদ সদস্য ত্রিদিপ কান্তি দাশ বলেন, অন্যান্য যে কোন সময়ের তুলনায় বতৃমান আওয়ামীলীগ সরকারের ৯ বছরের শাসন আমলে পার্বত্য এলাকায় মঠ মন্দিরের যেভাবে উন্নয়ন হয়েছে আর কোথাও কখনো তা হয়নি। কিন্তু এত কিছুর পরও জন্মাষ্টমীর দিনে সরকারকে অবজ্ঞা করার যে খারাপ দৃষ্টান্ত দেখানো হয়েছে তা সনাতনী সমাজের মানুষের মনে ক্ষত করেছে। এ অবস্থা সনাতনী সমাজ কখনো মেনে নেবে না।

 --হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত